বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে ভিসা আবেদন ও ভিসা সাক্ষাৎকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া । বিভিন্ন দেশের আলাদা কিছু নিয়ম/ কগজপত্র এর বাইরে প্রায় সকল দেশের কিছু সাধারণ ব্যাপার থাকে, সেই কমন বা সাধারণ বিষয়গুলো হলো:
শিক্ষার্থী ভিসার সাক্ষাৎকারটি মূলত একটি আলোচনা । এর মাধ্যমে কনস্যুলার অফিসার মূলত আপনি একজন প্রকৃত শিক্ষার্থী কিনা এবং এর ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য আপনার রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান । এ সাক্ষাৎকারের জন্য আপনার কোনো বক্তব্য প্রস্তুত করার প্রয়োজন নেই । প্রয়োজন নেই কোনো কিছু মুখস্থ করারও । আপনাকে শুধু ভাবতে হবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য ও এর ব্যয়ভার বহনের পরিকল্পনা নিয়ে । সবচেয়ে বড় কথা হলো, শান্ত থাকুন, বিচলিত হবেন না । সঠিক ও সত্য তথ্য নিরূপণ করাই কনস্যুলার অফিসারের কাজ, আপনাকে হতাশ করা নয় । ভিসা সাক্ষাৎকারের আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুন ।
ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় যেসকল কগজপত্র জমা দিতে বা দেখাতে হবে সকল কগজপত্রের দুই সেট অফসেট ফটোকপি করে নিবেন, একসেট ভিসা সাক্ষাৎকারের সময় নিয়ে যাবেন এবং আরেক সেট যত্ন করে আপনার বাসায় রাখবেন, কেননা পরবর্তীতে আপনার প্রয়োজন হতে পারে বিভিন কারণে । আপনি স্ক্যান করে ক্লাউড স্টোরেজ এ ও রাখতে পারেন ।
শিক্ষাব্যয় বহনের সামর্থ্য রয়েছে মর্মে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র যেমন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের উৎস – কোম্পানি বা ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, ব্যায়বার বহনকারীর সাথে সম্পর্ক প্রমাণপত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে ।
সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, পরীক্ষার ফলাফল, বিভিন্ন শিক্ষাস্তরে পাওয়া প্রশংসাপত্র, ইত্যাদি অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে ।
পাসপোর্ট (নুন্যতম ১৮ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
ফটো (সংশ্লিষ্ট দেশের নিদৃষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ও সঠিক মাপের)
ভর্তির প্রমাণপত্র
অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কোনো আবেদনকারী ভিসা আবেদনের সঙ্গে জাল বা নকল কাগজপত্র দিলে তা তাদের আজীবনের জন্য ভিসা না পাওয়ার কারণ হবে ।
শিক্ষাব্যয় বহনের সামর্থ্য না থাকলে, আপনি বৃত্তি বা এ সম্পর্কিত বিভিন্ন উৎসের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে ভিজিট করুণ ।
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের সময় আপনার পড়াশুনা কত দিন স্থায়ী হবে তা নিশ্চিত করা উচিত। যদি আপনার কোর্স বা প্রোগ্রামটি ছয় মাসেরও কম স্থায়ী হয় তবে আপনি সংক্ষিপ্ত প্রোগ্রামের জন্য কেবলমাত্র নিয়মিত ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনে করতে হবে, স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য আপনার কোর্স বা প্রোগ্রামটি ছয় মাসের বেশি হতে হবে ।
জাপান ছাড়া প্রায় কোন দেশই বিনামূল্যে ভিসা দেয় না, সুতরাং আপনি আবেদন ফি প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখন । যদিও এটি দেশ থেকে দেশে আলাদা হয় ।
আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে
কোন দেশকে বেছে নেবেন ?
কীভাবে একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাবেন ?
খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে কি ? এবং আরও অনেক… কিছুর নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আমাদের মতামত শেয়ার করুন বা ইমেল [email protected] মাধ্যমে আমাদের লিখুন, আমাদের কল করুন 💬 +8801646102130 । আমরা আপনাকে, আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার যাত্রায় সহায়তার জন্য দরকারী, প্রাসঙ্গিক টিপস এবং তথ্য প্রেরণ করতে পারি ।