ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি কি চায়?
আপনার কোন কোন যোগ্যতা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য?
ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি আপনার যে সমস্ত যোগ্যতা দেখবে সেগুলো একটা তালিকা আকারে দেয়া যাক প্রথমে:
১। আপনার ইংরেজীতে ভাষাগত দক্ষতা
২। আপনার বুদ্ধিমত্তা এবং গানিতিক যৌক্তিক দক্ষতা
৩। নিজেকে প্রকাশ করবার বা বিক্রি করবার ক্ষমতা
৪। শিক্ষা এবং কাজের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা
৫। আপনার শিক্ষা এবং তার মান
৬। কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিভার্সিটি আপনার টিউশন ফি দেবার মত অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে কিনা সেটাও দেখে থাকে
আপনার ইংরেজী কমিউনিকেশনের যোগ্যতা পরিমাপের পদ্ধতির জন্য ইউনিভার্সিটিগুলো IELTS বা টোফেলের উপর নির্ভর করে। এ টোফেলে ৩০০র মধ্যে ২৪০ থাকলে বেশীরভাগ ইউনিভার্সিটিতে গ্রহনযোগ্যতা পাওয়া যায়। তবে আপনার পছন্দ করা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে এব্যাপারে আরো জানতে পারবেন।
আপনার বুদ্ধিমত্তার যাচাই করবার জন্য ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে থাকে GRE এরই নামের টেস্টের উপর। এতে তিনটি সেকশন থাকে – গানিতিক সমস্যা সম্বলিত সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০), ইংরেজী ভাষার দখল সাম্প্রতিক একটি সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০), আর যুক্তিভিত্তিক রচনা লেখবার সেকশন (মোট নাম্বার ৬)। মোট কত নম্বর পেতে হবে সে ব্যাপারে সাধারনত ধরা বাঁধা নিয়ম থাকেনা। তবু ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ ঘেঁটে দেখতে ভুলবেন না। বিস্তারিত জানতে https://goo.gl/DtzZk5
অনেক সময় বিষয় ভিত্তিক জিআরই বা কর্মাসের পড়ার জন্য জিম্যাট পরীক্ষা চাইতে পারে কোন কোন ইউনিভার্সিটি। এ ব্যাপারে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে পারেন।
নিজেকে কতটা তুলে ধরতে পারেন অন্যের কাছে বা নিজেকে কিভাবে বিক্রি করতে পারেন সেটা যাচাই করা হয় আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা ইনটেন্ট নামের একটা রচনার মাধ্যমে। এখানে আপনাকে এক বা দুপৃষ্টার মধ্যে কি কারনে আপনি এই বিষয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, কি কারনে আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিবেন, নেবার পরে কি করবেন এই সব বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে Click Now
শিক্ষা বা আপনার কাজের যোগ্যতার ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে রেকমেন্ডেশন লেটারের উপর। আপনার প্রাক্তন ইউনিভার্সিটি বা কাজের যায়গায় আপনার যে বস ছিল তার চোখে আপনি কেমন মানুষ সেটাই জানাতে হয় এখানে। মোট তিনটা রেকমেন্ডশন লাগে অনেক জায়গায়। নিদির্ষ্ট ফরমও থাকে এর জন্য। আপনাকে এই ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিয়ে কারও কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
আপনার পূর্বের বিভিন্ন পরীক্ষার সার্টিফিকেট তাতে প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি এসবের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয় আপনার শিক্ষাগত যোগত্যা কতটা। এব্যাপার গুলো সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত বলে তেমন কিছু করা থাকেনা।
এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডব্লিউ.ই.এস. (http://www.wes.org/ ) বলে একটি সার্ভিসের শরনাপন্ন হতে হবে। তাদের কাছে আপনার রেজালটের এক কপি পাঠালে তারা আপনার ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আরো এক কপি চাইবে। এই দুই কপিকে যাচাই করে ইউএস ইকুইভ্যালেন্ট নাম্বার পাঠাবে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে।
অর্থনৈতিক সচ্ছলতা জানার জন্য ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাঙ্ক ব্যালেনস প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়। ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে মূলত এই ব্যাপার গুলিই টেক কেয়ার করতে হয়।