কানাডা ইম্মিগ্রেশন

মাত্র 35 মিলিয়ন জনসংখ্যার কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ- সেরা শিক্ষা, একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি, শহুরে নিরাপত্তা, সমতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে অভিবাসী-বান্ধব জাতি।

উত্তর আমেরিকার উন্নত দেশ কানাডায় সহজ অভিবাসনের অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে।  এ বছর সারাবিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বসবাস, কাজ ও স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে।  দেশটিতে আগামী বছর থেকে এ সুযোগ আরো ৫০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনি যদি কানাডা মাইগ্রেট করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এক্সিওম এর Immigration এক্সপার্ট ব্যারিস্টার এর মাধ্যমে আপনার স্কোপগুলি মূল্যায়ন করতে আজই যোগাযোগ করুন।

নিবন্ধনের জন্য কল করুন: 📞 01646102130-1 (10am to 7pm)

এক্সিওম আপনাকে মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রসেসিং সময়, ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতি সিস্টেম, মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো এবং কানাডা ইম্মিগ্রেশন সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান পেতে সহায়তা করবে।

🏠 আমাদের ঠিকানা:
*****************
এক্সিওম এডুকেশন গ্রুপ
আনাম র‌্যাংগস প্লাজা , ৫ম তলা
( লিফট-৪), রোড নং-৬/এ, (সাতমসজিদ রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা।
📧 [email protected]
🌐 studyabroadonline.com
👍 www.fb.com/AxiomEducationGroup

কানাডার ১১টি প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে প্রচলিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায়। এগুলোর ভেতর আবেদনকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এফএসডাব্লিই (FSW) ও এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry) প্রোগ্রাম। তাছাড়া বিপুলসংখ্যক লোকজন বিভিন্ন প্রভিনশিয়াল নামিনেশন প্রোগ্রাম (PNP) এর মাধ্যমেও কানাডায় পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ও সেলফ এমপ্লয়েড ক্যাটাগরিতেও দেশটিতে অভিবাসনের সুযোগ নেওয়া যাচ্ছে।

এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এশিয়ার। বাংলাদেশিরাও কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করে এ সুযোগ নিতে পারেন।

👍 ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিশনাল প্রোগ্রাম (BCPP)

আইইএলটিএস এ ৫.৫ সহ ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধু গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি থাকলেই কানাডার এই প্রদেশে বসবাসের আবেদন করতে পারবেন।

● এই প্রোগ্রাম চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এগুলো হলো :

১) এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিসি-স্কিলড ওয়ার্কার,
২) ইন্টারন্যাশনাল গ্রাজুয়েট এবং স্কিল ইমগ্রেশন,
৩) স্কিলড ওয়ার্কার,
৪) এন্ট্রি লেভেল সেমি স্কিলড।

👍 সমৃদ্ধ সাসকাচেওয়ানে অভিবাসন (SINP) :

সাসকাচেওয়ান (Saskatchewan) কানাডার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী প্রদেশ। এখানে কিছু বিশেষ পেশাজীবী চাইলেই অতি সহজে স্থায়ী নাগরিকত্ব নিতে পারেন। আপনি যদি কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যানালিস্ট হন, অথবা এনজিও কর্মকর্তা/সোশ্যাল ওয়ার্কার/প্রজেক্ট ম্যানেজার বা কৃষি ব্যবস্থাপক/কৃষি কর্মকর্তা তাহলে এ প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ নিতে পারেন।

এজন্য কেবল প্রয়োজন হবে ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসহ ন্যুনতম ৫.৫ আইইএলটিস স্কোর। সাপ্লাই চেইন, পারচেজ ম্যানেজার, মার্টেনডাইজার, গণিত বা পরিসংখ্যানবিদ অথবা সিভিল ও ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হলেও এপ্র্রোগ্রামের সুযোগ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হবে।

👍 এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry):

কানাডায় অভিবাসনের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ অক্টোবর। এতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক সংখ্যক মানুষ অভিবাসনের জন্য আবেদনের অনুমতি পান। আপনিও যদি কানাডা অভিবাসন প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে আজই এক্সিওম এর সাথে যোগাযোগ করুন।

কানাডা immigration সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন:

বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চাইলে কি করণীয়

স্কলারশিপ জাপানি

জাপানের মবুকাগাকুশো স্কলারশিপের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীগণ এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। এ স্কলারশিপের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পাস হতে হবে। বয়স ১৮বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তদেরকে অবশ্যই জাপানিজ ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হবে। এ জন্য ঢাকাস্থ জাপান এম্বেসিতে যোগাযোগ করতে হবে।

AISF–এর স্কলারশিপ :
Atsumi International Scholarship Foundation-এর অর্থায়নে পরিচালিত এ স্কলারশিপ ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে এশিয়ায় যেকোনো দেশে পড়াশোনা করার জন্য প্রদান করা হয় । এছাড়াও এক বছরের জন্য স্টাইপেন্ড ও অধিক স্টাফ সহযোগিতা প্রদান করা হয় ।

International University of Japan-এর স্কলারশিপ: এ বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন ও ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে, IUJ Scholarship(Type A, Type B, Typ C), Monbush Scholarship Ges AIB Scholarship নামক স্কলারশিপগুলো প্রদান করে থাকে। আবেদন করতে হয় এপ্রিলের মধ্যে।

Watari Naoji Foundation-এর স্কলারশিপ:
এ প্রতিষ্ঠানটি ন্যাচারাল সায়েন্সের বিষয়সমূহে I Watari International Scholarship নামে এক বছর মেয়াদি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।

Matsumae International foundation-এর স্কলারশিপ:
এ প্রতিষ্ঠানটি আর্টস, ক্লাসিক্যাল স্টাডিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স ও সোশাল সায়েন্সে Matasumae International Foundation Fellowship নামে ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে । এ স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে এয়ারটিকেট, এক্সিডেন্ট ইন্সুরেন্স, এককালীন টাকা প্রদান করা হয় । স্কলারশিপটির জন্য প্রার্থীকে ন্যূনতম মাস্টার্স পাস এবং ২ বছরের রিসার্চ অভিজ্ঞতা ও বয়স ৪০ বছরের কম হতে হবে।

স্কলারশিপ যুক্তরাজ্য

University of  Cambridge-এর স্কলারশিপ ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় University of Cambridge ৩ বছর মেয়াদি এবং ১-৩ বছর মেয়াদি ২টি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। প্রথম স্কলারশিপের জন্য প্রার্থীকে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স পাশ হতে হবে এবং ২য় স্কলারশিপের জন্য কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্গ্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। প্রথম স্কলারশিপের জন্য ১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে ২য় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে ১ মে’র মধ্যে।

University of Bristol- এর স্কলারশিপ
University of Bristol-এর বছর মেয়াদি (নবায়নযোগ্য) একটি স্কলারশিপ পেতে হলে প্রার্থীকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্গ্যাজুয়েশনে ফার্স্ট ক্লাস পেতে হবে । এজন্য আবেদন করতে ১ মে’র মধ্যে ।

University of Birmingham-এর স্কলারশিপ
University of Birmingham আইনের শিক্ষার্থীদেরকে এক বছর মেয়াদি (নবায়নযোগ্য) একটি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে । শিক্ষার্থীদেরকে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে র্গ্যাজুয়েট হতে হবে এবং ৩১ মার্চের মধ্যে যোগাযোগ করতে হবে।

Edinburg College of Art-এর স্কলারশিপ
Edinburg College  of   Art পেইন্টিং ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার, স্কল্পচার, কান্ট্রি প্লানিং, আর্কিটেকচার, ডিজাইন এবং এন্ড ক্রাফটস বিষয়ে কোর্সভেদে বিভিন্ন মেয়াদি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে । প্রার্থীকে নূন্যতম উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাশ হতে হবে ।

স্কলারশিপ জার্মানি

‘The Alexander Van Humboldt Foundation’ ৬ থেকে ১২ মাস মেয়াদি স্কলারশিপের আওতায় তরুণ, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে জার্মানিতে নিজ পছন্দমতো বিষয়ে রিসার্চ করার সুযোগ দেওয়া হয় । মেধাবী প্রার্থীদের ডক্টরেট/পিএইচবডি/সমমানের ডিগ্রি অথবা রিসার্চ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় বা রিসার্চ ইনস্টিটউটে স্বধীনভাবে রিসার্চ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছর নিচে হতে হবে ।

জার্মানির সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে DADA। প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এরা প্রায় ৬০ হাজার স্টুডেন্টকে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে । এর মধ্যে পিএইচডি রিসার্চ স্কলারশিপের আওতায় ইকোনমিক্স, এডুকেশন হিস্ট্র, ফিলোসফি, ম্যাথমেটিকস, ন্যাচারাল সায়েন্স, জার্মান ভাষা সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে ৩৫ মাস মেয়াদি স্কলারশিপ প্রদান করা হয় । সাধারণত আবেদনকারীর অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় বা রিসার্চ ইনস্টিটউটে পিএইচডি-এর রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে । প্রার্থীর বয়স ৩২ বছরের নিচে হতে হবে । প্রার্থীর অবশ্যই ভালো রেজাল্টসহ মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবশ্যই মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং সায়েন্স বা আর্টস-এ ব্যাচেলার ডিগ্রিতে ফার্স্ট ক্লাস থাকতে হবে ।

Would University সকল প্রধান বিষয়ে ১ বছর মেয়াদি (নবায়নযোগ্য) মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ‘WUS Scholarship’ প্রদান করে থাকে। Friendrich  Ebert Foundation সকল প্রধান বিষয়ে এক বছর মেয়াদি (নাবায়নযোগ্য) ‘Foreign Students  Scholarship নামে স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।

স্কলারশিপ কানাডা

অনেকে পড়াশোনার জন্য উন্নত দেশগুলেতে পাড়ি জমান। কিন্তু টিউশন ফির জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েন, এক্ষেত্রে কানাডায় প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। কানাডায় বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বা ভর্তি হতে ইচ্ছুক সে বিশ্ববিদ্যালয়ের Financial Aid Office এ ও যোগাযোগ করতে পারেন। Canadian Heart Foundation প্রতিষ্ঠানটি কার্ডিওভাস্কুলার রিসার্চ বিষয়ে ১ বছর মেয়াদি (নবায়নযোগ্য) রিসার্চ ফেলোশিপ’ নামে একটি স্কলারশিপ প্রদান করে এবং স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীগণ প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা থেকে ২৭ লাখ টাকা পেয়ে থাকে। প্রার্থীকে প্রতি বছর ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

Mc Gill University থিওরিটিক্যাল ফিলোসফি বিষয়ে ‘ডাও হিকসন ফেলোশিপ’ নমে এক বছর মেয়াদি (নবায়ন যোগ্য) একটি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে যার মূল্যমান প্রায় ৫৮ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্যার ভিনসেন্ট মেরিডিথ ফেলোশিপ’ নামে এগ্রিকালচার ইকোনমিক্স বিষয়ে ২ বছর মেয়াদি (নবায়নযোগ্য) আরও একটি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে যার মূল্যমান প্রায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ স্কলারশিপের জন্য ১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

কিভাবে বিষয় বাছাই করতে হয়?

  কিভাবে বিষয় বাছাই করতে হয়?  

প্রথমেই বলে নেই এখানে উচ্চশিক্ষা বলতে আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টাডিকে বুঝাচ্ছি বিষয় বাছাই করা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।  আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে একটি সঠিক বা ভুল সিদ্ধান্ত।  আমাদের দেশে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতে দেখা যায় না বেশী।  একেক সময় একেক বিষয়ের প্রতি ক্রেজ ওঠে আর সবাই দল বেঁধে সেই বিষয়ে পড়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট শেষে সেই বিষয়ের কোন চাকুরী পাওয়া যাবে কিনা, ১০/১৫ বছর পর সে ধরনের চাকুরী থাকবে কিনা, বিষয়টি ছাত্রটির জন্য উপযুক্ত কিনা, ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য উপযুক্ত কিনা এসব কিছু চিন্তা না করেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ক্রেজের উপর অভিভাবক এবং ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।  মজার ব্যপার হচ্ছে আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই।  আমার লেখার ফোকাস হচ্ছে উচ্চশিক্ষা।  তাই বিষয়টাকে আমি বাংলাদেশের পারস্পেকটিভে বা আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট পার্সস্পেকটিভে আপাতত আলোচনা করব।  উচ্চশিক্ষা বলতে আমি মার্স্টাস বা পিএইচডি বুঝাচ্ছি না এখানে। কেন মানুষ উচ্চতর শিক্ষার কথা ভাবে?

১) জ্ঞান বাড়ানোর জন্য। আমার বড়জোড় ২-৩% ভাগ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।

২) ভাল বেতনের, নির্ভরযোগ্য চাকুরীর জন্য। অধিকাংশ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।  চলতি হাওয়ার সাথে তাল মেলানো একটা ভাল পদ্ধতি হতে পারে।  অর্থাৎ যে ক্রেজের নিন্দা আমি শুরুতেই করছিলাম সেটাই একটা ভাল পদ্ধতিও হতে পারে। বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের আড্ডায়, বা শিক্ষিত লোকের গল্প গুজবের সময় বিভিন্ন ফ্যাকচুয়াল ব্যাপার আলোচিত হয়।  অনেকে অনেক পত্রিকা বা ব্লগ পড়ে থাকেন সেগুলো শেয়ার করেন।  আর এভাবেই আস্তে আস্তে গুঞ্জন উঠতে পারে কোন একটা বিষয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে।  সুতরাং এই পদ্ধতিতে পাওয়া তথ্যকে অনেকাংশে নির্ভরযোগ্য মনে করা যেতে পারে।  আমি এই পদ্ধতির কয়েকটা উদাহরন দিই।  কোন একটি বিষয় পড়ার পর ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করা খুব শক্ত। যেমন ধরুন পাঁচ/দশ বছর আগেও Computer Science একটা বেশ প্রমিজিং বিষয় ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য।  তখন অনেকে এই বিষয়ে পড়াশোনা করছে।  এখন হঠাৎ করে বাজার পড়ে যাওয়ায় সেই বিষয়ের ছাত্রদের অবস্থা বেশ নাজুক। তেমনি হঠাৎ করে লক্ষ্য করা গেছে যে ইন্টেলে আর লোক নিচ্ছে না।  তো যারা এ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করছে তাদের কাছে বিষয়টা চিন্তার বইকি।  এব্যাপারে সর্বোত্তম যেটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন খবরা খবর, ফোরামে আলোচনা, ব্লগ এগুলো ঘেঁটে দেখা।  এতে করে হয়ত একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।

৩) এরপর আপনার পছন্দের বিষয়ের ব্যপার থাকে।  সমস্ত কিছু বিবেচনা করার পর আপনার মনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থা বলে মনে হচ্ছে সেটা আপনার মনপুত: হচ্ছে কিনা।  কেননা শেষ পর্যন্ত আপনাকেই ঘানি টানতে হবে।  তখন যদি আপনার সন্দেহ বা দোনোমনা থেকে থাকে সেটা মোটেই সুখকর হবে না।

৪) এই পর্যায়ে এসে পুরো প্রসেসটার একটা আউটলাইন দাঁড় করানো যাক। মেন্টর বা বন্ধু, সিনিয়র কেউ – এদের সাথে আলোচনা করে চলতি বিষয়গুলোর একটা তালিকা করুন।  জবের অবস্থা কেমন সেটা যাচাই করুন বিভিন্ন জবওয়েবসাইট ঘেঁটে।  ভবিষ্যত কিরকম হতে পারে সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করুন।  সবশেষে আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে বিষয়গুলোকে প্রয়োরিটি দিন।  চলতি বিষয়গুলোর আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন অর্থাৎ ১০০ মধ্যে প্রতিটা বিষয়ের কোনটা কত পেল সেটা ঠিক করুন।

মনে করুন,’আমেরিকাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা করিম এর কাছে কেউ জানতে চাইল কোন বিষয়ে মার্স্টাস বা পিএইচডি করতে আসা উচিত? ‘আমেরিকাতে এখন বায়োইঞ্জিনিয়ারিং খুব ভালো চলছে’ আমি এই উত্তরটা দিল করিম।  কিন্তু করিম এর এই ধারনাটা কিভাবে তৈরী হল? করিম বলে, প্রথমত এখানে এসেই দেখলাম চোখের সামনে ঝকঝকে তকতকে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গড়ে উঠল।  বেশ কয়েকজন ইন্ডিয়ান প্রতিবেশী দেখলাম পোস্টডক করছে এই বিষয়ে এবং তারা ওয়েল পেইড।  তদুপরী বিভিন্ন আড্ডায় কিছু সাকশেস স্টোরী শুনে দৃঢ় বিশ্বাস হল যে এই বিষয়ের রমরমা অবস্থা।  এক ইলেক্ট্রিক্যালের ভাইয়া বললেন তার প্রফেসর ইলেক্ট্রিক্যাল-বায়ো বিষয়ক গবেষনার জন্য প্রস্তাব করেছিল কোন এক জাতীয় গবেষনা কেন্দ্রের কাছে সেই প্রফেসর যে পরিমান ফান্ডিং আশা করেছিল তারও দ্বিগুন পয়সা পেয়েছেন।  এই চলতি বিষয় কোনটা জেনে নেয়াটা একটা ভাল শুরু হিসেবে ধরা যেতে পারে।  সুতরাং প্রথম পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত বন্ধু বান্ধব, মেন্টর এদের সাথে আলাপ করে জেনে নিন কোন কোন বিষয়ের পালে হাওয়া লেগেছে। কাগজে একটা তালিকা করে ফেলুন।

৫) এরপরে যাচাই করে দেখুন ঐ বিষয়ের চাকুরীর বাজার কেমন।

৬) কোন একটি বিষয় পড়ার পর ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করা খুব শক্ত।  যেমন ধরুন পাঁচ/দশ বছর আগেও মাইক্রো-ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম নামে একটা বেশ প্রমিজিং বিষয় ছিল উচ্চতর শিক্ষার জন্য।  তখন অনেক রিসার্চার এই বিষয়ে সুইচ করেন।  এখন হঠাৎ করে বাজার পড়ে যাওয়ায় সেই বিষয়ের ছাত্রদের অবস্থা বেশ নাজুক।  তেমনি হঠাৎ করে লক্ষ্য করা গেছে যে ইন্টেলে আর লোক নিচ্ছে না।  তো যারা এ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করছে তাদের কাছে বিষয়টা চিন্তার বইকি এব্যাপারে সর্বোত্তম যেটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন খবরা খবর, ফোরামে আলোচনা, ব্লগ এগুলো ঘেঁটে দেখা।  এতে করে হয়ত একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। উদাহরন স্বরূপ পিএইচডিস ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো পড়ে দেখতে পারেন।

৭) এরপর আপনার পছন্দের বিষয়ের ব্যপার থাকে।  সমস্ত কিছু বিবেচনা করার পর আপনার মনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থা বলে মনে হচ্ছে সেটা আপনার মনপুত: হচ্ছে কিনা।  কেননা শেষ পর্যন্ত আপনাকেই ঘানি টানতে হবে।  তখন যদি আপনার সন্দেহ বা দোনোমনা থেকে থাকে সেটা মোটেই সুখকর হবে না।

৮) এই পর্যায়ে এসে পুরো প্রসেসটার একটা আউটলাইন দাঁড় করানো যাক।

 মেন্টর বা বন্ধু, সিনিয়র কেউ – এদের সাথে আলোচনা করে চলতি বিষয়গুলোর একটা তালিকা করুন।
 জবের অবস্থা কেমন সেটা যাচাই করুন বিভিন্ন জব ওয়েবসাইট ঘেঁটে।
 ভবিষ্যত কিরকম হতে পারে সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করুন।
 সবশেষে আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে বিষয়গুলোকে প্রয়োরিটি দিন। অর্থাৎ ১০০ মধ্যে প্রতিটা বিষয়ের কোনটা কত পেল সেটা ঠিক করুন।

  কোর্স নির্বাচন  

একটি কোর্স নির্বাচন করার সময় বিবেচনা করা অনেক আছে, তাই আমাদের গাইড আপনাকে কি চিন্তা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।কোর্স সামগ্রী তুলনা প্রথমত, আপনার অবশ্যই অধ্যয়ন করতে চান এমন ধরনের কোর্স চয়ন করতে হবে।  আপনি যদি আপনার বিকল্প জানেন না, আপনি বিভিন্ন কোর্সের ধরন এবং এন্ট্রি প্রয়োজনীয়তা তাকান উচিত।  যদি আপনি ইতিমধ্যে অবশ্যই কোর্সের উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি অধ্যয়ন করতে চান, এখানে বিভিন্ন কোর্স এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তুলনা করার সময় বিবেচনা কিছু জিনিস আছে প্রতিটি কোর্সে আচ্ছাদিত মডিউলের দিকে তাকান এবং কোনটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়, বা আপনার কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত।  কত বক্তৃতা আছে, এবং সেমিনারে কতগুলি গ্রুপ কাজ করা হবে? প্রতিটি মডিউল শেষে মূল্যায়ন কি মত দেখায়? পরীক্ষা, পাঠ্যক্রম, উপস্থাপনা, বা তিনটি সংমিশ্রণ?

  সঠিক কোর্স বাছাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ  

আপনার ওয়েবসাইট বা প্রপেক্টাসটি পড়ার সাথে সাথে অনলাইন রিভিউ এবং সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি দেখে সহ একটি বিশ্ববিদ্যালয়, কনসার্ভোরেয়ার, বা কলেজের গবেষণা করতে পারেন এমন অনেক উপায় আছে, কিন্তু আদর্শভাবে আপনি ক্যাম্পাস, শহর এবং অবশ্যই নিজের জন্য লেকচারার দেখতে পাবেন।  বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো সারা বছর ধরে খোলাখুলি চালায় – আসন্ন উন্মুক্ত দিনগুলি খুঁজে একবার আপনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ আপনি আগ্রহী আগ্রহী কোর্স তালিকাভুক্ত করা হলে, প্রত্যেকের তুলনা করার সময় বিবেচনা করা অনেক কিছু আছে।

  কি বিষয় এলাকায় তারা বিশেষজ্ঞ?  

আপনি বিদেশে আপনার কোর্সের অংশ অধ্যয়ন করতে পারেন, অথবা কাজের স্থানগুলির সাথে সাহায্য পেতে পারেন? ইউ কে কলেজে অধ্যয়নরত কি তা আবিষ্কার করুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন। তাদের কি খেলাধুলার সুবিধা আছে বা আপনার সাথে যোগদান করতে চান? কিভাবে বাড়ি, একটি শহর কেন্দ্র, বা গ্রামাঞ্চল তারা কাছাকাছি? শিক্ষার্থীদের জন্য কি বাসস্থান পাওয়া যায়? আন্তর্জাতিক ছাত্র যুক্তরাজ্যে শত শত ইউনিভার্সিটি ও কলেজ রয়েছে যা বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, দেখুন, কোনটি আপনার জন্য সেরা কোর্স অফার করে।  এখানে আপনাকে সাহায্য করার জন্য কিছু শীর্ষ টিপস:

 আপনার দেশের অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র বা ছাত্র সেখানে পড়াশোনা করছে কিনা জিজ্ঞাসা করুন।
 বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সাংস্কৃতিক বা সামাজিক ক্লাবে আপনি যোগদান করতে চান তা খুঁজে বের করুন।
 আপনি একটি স্থান পেতে প্রয়োজন কি দেখতে কোর্সের বর্ণনা এন্ট্রি প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
 বিষয় পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ দেখুন।
 শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পড়াশোনার সঠিক স্থান বেছে নেওয়ার পরামর্শ
বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ পাশাপাশি পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক বা উপদেষ্টাদের সাথে আপনার মতামত এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে কথা বলার সাথে সাথে আপনি অনলাইনে অন্যান্য মতামত খুঁজে পেতে পারেন।

কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ইমিগ্রেশন প্রয়োজন এ এক্সিওম বেচে নিবেন?

এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে ৫০০০ এর ও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এবং তাদের পরিবারগুলিকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পুরুনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে।  এক্সিওম ইউ এস, কানাডা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে ভর্তি ও ভিসা সহযোগিতা ও ফ্রী পরামর্শ দিয়ে থাকে। এক্সিওম একজন শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত যোগ্যতা,আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পরামর্শ ও সেবা নিশ্চিত করে।

এক্সিওম এর সেবা অন্তর্ভুক্ত:

কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয নির্বাচন।
ভর্তি আবেদনপত্র জমাদান ও ভর্তি নিশ্চিত করণ।
স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করা।
ভিসা প্রক্রিয়ায় পরামর্শদান।
টিউশন ফি পেমেন্ট এ সহায়তা।
যাতায়ত ও আবাসন এর সাশ্রয়ী ও ঝামেলা মুক্ত ব্যাবস্থা করা।

এক্সিওম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাদান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে কাঙ্খিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ একজন পরামর্শদাতা নিযুক্ত থাকে। আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ইমিগ্রেশন প্রয়োজনে ফ্রী পরামর্শ করতে সরাসরি সাক্ষাত করুন এক্সিওম অফিস বা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য-কল করুন: ০১৬৪৬১০২১৩০-১
(সকাল ১০টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত, শনি – বৃহস্পতিবার)

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটি ভর্তির জন্য?

ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি কি চায়? আপনার কোন কোন যোগ্যতা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য? এই সব বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো।

নিয়ম কানুন প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম নিয়ম কানুন থাকে।  সেগুলোর পরেও সবগুলোতে সহজ ভাষায় একটা সামঞ্জস্য আছে।  সেই সামঞ্জস্যের অংশটুকুন নিয়ে লেখা হচ্ছে।  তারপরেও যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতে চাচ্ছেন-তাদের স্পেশাল কোন নিয়মকানুন আছে কিনা সেটা তাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে অনুরোধ করবো।

বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গেলেই কিছু ব্যাপার জানতে হবে।  বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার চেয়ে অনেক অনেক অনেক আলাদা।  প্রথমতঃ আসলে আমাদের দেশে যেমন একটা নির্দিষ্ট পরীক্ষায় ভালো করে সাথে সাথে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া যায়- বিদেশে র পদ্ধতিটা ঠিক এমন নয়। ভর্তির জন্য কিছু পরীক্ষা দেয়া লাগে বটে-তবে সেই পরীক্ষাগুলো ভর্তির অনেক অনেকগুলো অনুষঙ্গের মধ্যে একটা অনুষঙ্গ মাত্র-আর কিছুই নয়। পরীক্ষার রেজাল্ট যতটা গুরুত্বপূর্ণ-এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি, এডমিশন এসে, লেটার অব রেকমেন্ডেশন ইত্যাদি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায় অনার্স কোর্স করতে যেতে চান, তবে SAT অথবা ACT পরীক্ষার পর আপনার পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তিফরম সংগ্রহসহ যাবতীয় নিয়ম জেনে নিন। আর আপনি যদি গবেষণার কোনো বিষয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাহলে যার অধীনে আপনি গবেষণা করতে আগ্রহী, তাকে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, থিসিস দিয়ে মোটিভেশান চালান।  স্টেটমেন্ট অব মোটিভেশান সিভি পাঠান।

এপ্লিকেশনের এসে
১) TOEFL এবং IELTS
২) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
৩) এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস
৪) লেটার অব রেকমেন্ডেশন

এপ্লিকেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কমন এপ্লিকেশনের এসে বা রচনা।  এই বিষয়টাও একটু বুঝিয়ে বলার জন্য ব্যাখ্যা হিসাবে লিখছি –
এডমিশন এসে অনেকের মতে এডমিশন এসে বা রচনাটাই ভর্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে ভাইটাল অংশগুলোর মাঝে একটা।  এই এসে দিয়ে একজন এডমিশন অফিসার শিক্ষার্থীকে চিনতে পারবে-জানতে পারবে।  এসের টপিক থাকে এবং সেই টপিকে মোটামুটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তোমার এবং তোমার প্যাশনের সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হয়।  এই এসেটা একটু ধীরেসুস্থে-বুঝে শুনে লিখতে হবে। এই এসেটা এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে সবার থেকে আলাদা করে তোমার লেখাটা ফুটে ওঠে।  এসে লেখার তেমন কোন নিয়মকানুন নেই তবে একটা ইনফরমাল আপন-আপন আবহাওয়া আছে যেটা আমাদের অতিফরমাল এসএসসির ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ মার্কা রচনার অনেকটাই বিপরীত। কাজেই এই ভাবধারাটা বোঝার জন্য কিছু স্যাম্পল এসে পড়া যেতে পারে। গুগলে সার্চ দিলেই অনেক স্যাম্পল এডমিশন এসে পাওয়া যাবে। কেউ যদি চায় তাহলে Application Guide  এই সেকশনের স্যাম্পল এসে গুলোও দেখতে পারে। স্যাম্পল এসে ছাড়াও এখানে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় আর প্রয়োজনে অনেক প্রশ্ন পোস্টও করা যায়। কাজেই ভর্তিচ্ছু সকলকে বলবো গ্রুপটা একবার ঘুরে দেখতে।

   SAT এবং SAT Subject Tests

এডমিশনের এই অংশটাকে নিয়ে অনেকে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন কারণ এই পরীক্ষাত ব্যাপারটি আমাদের মোটামুটি পরিচিত।  আর এই পরীক্ষাটি একক নির্ধারণী বিষয় না হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।  তাই এই বিষয়ে জানাও দরকার। প্রথমে বলি SAT এর কথা। এটা একটা বেসিক পরীক্ষা।  আপনি যে বিষয়েই পড়তে চান না কেন-আপনাকে এই পরীক্ষাটি দিতে হবে। পরীক্ষাটি ২৪০০ মার্কে হয়-চার ঘন্টার পরীক্ষা।নেয়া হয় তিনটি অংশে-

১) ম্যাথ
২) ক্রিটিকাল রিডিং আর
৩) রাইটিং।
তিনটাতে আটশ করে মোট চব্বিশ শো।

১) ম্যাথ অংশটা বেশ সোজা। মোটামুটি মাথা ঠান্ডা রাখলে ক্লাস টেনের একটা ছেলেরও ম্যাথগুলো ভুল করার কোন কারণ নেই। তবে সমস্যাটা হলো-কম সময়ে অনেক বেশি অংক করতে হয়।  কাজেই এই সময়ের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিকঠাক অংক করতে পারাটা একটা প্রাকটিসের ব্যাপার। রাইটিং অংশ মূলত গ্রামারভিত্তিক।  এরর আইডেন্টিফিকেশন-রিরাইটিং এর মতন বিষয়গুলো থাকে।  তবে এই গ্রামারটুকুন আমাদের চিরপরিচিত ব্রিটিশ গ্রামার থেকে একটু ভিন্ন ধাঁচের। একটু বেশি কনভারসেশনাল।  তবে মোটামুটি একটু পড়াশোনা আর কারো সামান্য গাইডেন্স পেলে ব্যাপারটা বেশি একটা কঠিন নয়। সাথে অবশ্য একটা এসেও লিখতে হয়।  কেউ যদি এডমিশন এসে নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে তাহলে এই এসেতেও খুব একটা সমস্যা হবেনা-তবু বইয়ের কিছু মডেল দেখা যেতে পারে।

২) রিডিং অংশটা একটু ক্রিটিকাল বলেই নাম ক্রিটিক্যাল রিডিং।  আনসিন পেসেজ থাকে-সেগুলোর থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।  এইখানে কিছু টিপস-ট্রিকসের ব্যাপার আছে। বই আর কারো সাহায্য নিলে সহজেই পারা যেতে পারে। সাথে যে ঝামেলার জিনিসটা আছে সেটা হল সেনটেন্স কমপ্লিশন।  এইখানে প্রচুর ভোকাবুলারির জ্ঞান লাগে আর বেশ কিছু শব্দ মুখস্ত করতে হয়।  তাই বলে ডিকশনারি নিয়ে বসে যেতে হবে এমন নয়।  শব্দ শেখারও কিছু কায়দা আছে।

এইসব কায়দা-নিয়মকানুন-টিপস ট্রিকস খুব সুন্দর করে লেখা আছে Princeton Review এর Cracking the SAT বইটাতে।  এছাড়া Barrons এর SAT বইটাও বেশ ভালো।  তবে প্রাকটিস টেস্টের জন্য Collegeboard এর নীল রঙের SAT বইটি ব্যবহার করা নিরাপদ।  এই বইগুলোর দাম খুব বেশি না। নীলক্ষেতে আর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় সহজেই পাওয়া যেতে পারে।তেমন সমস্যা নেই।  কেউ প্লিজ মনে করবেন না যে পরিক্ষাটি খুব কঠিন-কারণ এটা খুব একটা কঠিন নয়।  শুধু দরকার একটু পরিশ্রম আর গাইডেন্স কাজেই ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাবড়ানোর কিছুই নেই।  কেউ যদি SAT এর জন্য কোচিং করতে চান তাহলে এক্সিওম এ যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে কোচিং ছাড়া পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলা অসম্ভব কিছু না আর আমি সাহসী শিক্ষার্থীদের সেটা করতেই অনুপ্রাণিত করবো। সবচেয়ে ভাল হয় যদি প্রাইভেট কোন টিউটর খুঁজে পান-কারণ সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট সমস্যা-বিশেষ করে এসের ব্যাপারে খুব ভালো নজরদারি পেরে পারেন।  আমি সবকিছু খোলাখুলি জানিয়ে রাখছি বলে কারো কাছে মনে হলে দুঃখিত-আমি আসলে অন্যদের মতন ঘোলাটে করে একটা ব্যাখা লিখতে চাইনি।  যেমন ঘটনা তেমন করে লিখে দিলাম।  এখন আপনারা বুঝে নিন।

SAT Subject Test হলো মূলত নির্দিষ্ট সাবজেক্টের উপর একেকটা পরীক্ষা।  এই পরীক্ষাটি না দিলেও চলে তবে বিশেষত বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে পড়তে চায় এমন মানুষদের এই পরীক্ষাটি দেয়া উচিত। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য আবার এটাকে অনিবার্য বলেও ঘোষণা দেয়।Mathematics,Physics,Chemistry,Biology বিভিন্ন বিষয়ে Subject Test দেয়া যায়।  কে কোন কোন সাবজেক্ট টেস্ট দেবে এটা তার সাবজেক্ট চয়েসের ওপর নির্ভর করে। আমার এক বন্ধু গণিতে অনার্স করতে চায়-সে Mathematics আর Physics এর Subject Test দিয়েছে।  এই সাবজেক্ট টেস্টগুলোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও এমনি SAT এর মতন।  এগুলোর জন্যেও Barrons এর বই পাওয়া যায়। সিলেবাসগুলো আমাদের ইন্টারের সিলেবাসের মতই আর প্রশ্ন বেশ একটা কঠিন নয়। Barrons থেকে কিছু প্রাকটিস করলেই পারা যেতে পারে।

IELTS একটা অপরিহার্য পরীক্ষা।  অনেকে আবার IELTS এর বদলে TOEFL ও দেয়-কিন্তু ও IELTS সহজতর আর অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য। মূলত এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর রেজাল্ট নির্ভর করেনা। এইটা একটা ইংরেজিতে কমিউনিকেট করতে পারার প্রমাণ।  অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর জন্য একটা পাসিং মার্জিন দেয় (সাধারণত ৬) তার বেশি পেলেই তারা ইংরেজিতে পারদর্শী ধরে নেয়। IELTS এর জন্যে AGI কোচিং করায়। রাস্তায় হাটলেই হাজার বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে যে SAT দিয়েছে তার কাছে IELTS পানিভাত।

৩।  একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট হিসেবে এসএসসির সনদ, ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালের রেজাল্ট আর সেকেন্ড ইয়ারের টেস্টের রেজাল্ট জমা দিতে হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই-এইগুলা খুব একটা অতিজরুরি না।  কিন্তু প্রথম সারির ছাত্ররা স্কলারশীপের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রাধিকার পায়। এই ট্রান্সক্রিপ্টগুলো একাডেমিক কাউন্সিলরের মারফত পাঠাতে হবে। নিজের মতন করে কাউন্সিলরকেও একটা কমন এপ একাউন্ট খুলে দিতে হবে আর সেইখানে এই ডকুমেন্টগুলো পিডিএফ আকারে আপলোড দিতে হবে।

৪।  এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি
এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি ওদের কাছে বড় একটা বিবেচনার বিষয়। এই জিনিসটা এডমিশনের কাজে অনেক সাহায্য করে। মূলত কারো যদি কোন চ্যারিটি-সোশ্যাল ওয়ার্ক বা আন্তর্জাতিক সনদ থাকে, তাহলে সেটাকে ওরা বিশেষ মূল্যায়ন করে। তবে কারো যদি মনে হয় তার এরপর কোন এচিভমেন্ট নেই-তাহলে খুব ভয় পাবার কিছু নেই কারণ অনেকেই আছে যাদের এমন কোন রেকর্ড নেই কিন্তু অন্য অনুষঙ্গগুলো এতটাই পাকপোক্ত যে অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।

৫।  লেটার অব রেকমেন্ডেশন
লাস্ট বাড় নট দ্য লিস্ট-লেটার অব রেকমেন্ডেশন! এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। মূলত গাইডেন্স কাউন্সিলর সহ আরো দুইজন টিচারের কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে সেটা সাবমিট করতে হয়। এক্সিওম এর মাধ্যমে বা মেইল করে সেগুল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো যায়। তবে কোনভাবেই এই চিঠিগুলো যাতে ম্যাড়মেড়ে চারিত্রিক সনদের মতন না হয়।  পত্রটা পড়ে মনে হতে হবে যে পত্রকার শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে এবং ব্যক্তিগতভাবে তার গুণাবলি তুলে ধরে তাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগ্য চয়েস হিসেবে ব্যাখ্যা করবে।  এই পত্রটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি শিক্ষক আর ছাত্র মিলেঝুলে ঠিক করে যে কি কি লেখা যায়।

ভর্তির জন্য আপনার যে সমস্ত যোগ্যতা দেখবে সেগুলো একটা তালিকা আকারে দেয়া যাক প্রথমে:

১।  আপনার ইংরেজীতে কমিউনিকেশনের ক্ষমতা
২।  আপনার বুদ্ধিমত্তা – গানিতিক, যৌক্তিক, (ইংরেজী) ভাষাগত দক্ষতা
৩।  নিজেকে প্রকাশ করবার বা বিক্রি করবার ক্ষমতা
৪।  শিক্ষা এবং কাজের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা
৫।  আপনার শিক্ষা এবং তার মান
৬।  কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিভার্সিটি আপনার টিউশন ফি দেবার মত অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে কিনা সেটাও দেখে থাকে

ভাষাগত দক্ষতা

আপনার ইংরেজী কমিউনিকেশনের যোগ্যতা পরিমাপের পদ্ধতির জন্য ইউনিভার্সিটিগুলো নির্ভর করে IELTS টোফেলের উপর। টোফেল একটি পরীক্ষা যেখানে আপনার ইংরেজী শোনা (কতগুলো কথা হেডফোনের মাধ্যমে শুনে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে), ইংরেজী পড়া (কতগুলো প্রশ্ন পড়ে উত্তর করতে হবে), ইংরেজী লেখা (দুটো রচনা লিখতে হবে) এইসব যাচাই করা হয়।

বুদ্ধিমত্তার যাচাই – গানিতিক, যৌক্তিক (ইংরেজী) বুদ্ধিমত্তার যাচাই করবার জন্য ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে থাকে জিএরই নামের টেস্টের উপর।  এতে তিনটি সেকশন থাকে –

 গানিতিক সমস্যা সম্বলিত সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
ইংরেজী ভাষার দখল স¤র্পকিত একটি সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
আর যুক্তিভিত্তিক রচনা লেখবার সেকশন (মোট নাম্বার ৬০০)
মোট কত নম্বর পেতে হবে সে ব্যাপারে সাধারনত ধরা বাঁধা নিয়ম থাকেনা। তবু ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ ঘেঁটে দেখতে ভুলবেন না। বিস্তারিত জানতে: Click Now

অনেক সময় বিষয় ভিত্তিক জিআরই বা কর্মাসের পড়ার জন্য জিম্যাট পরীক্ষা চাইতে পারে কোন কোন ইউনিভার্সিটি। এ ব্যাপারে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে পারেন।

স্টেটমেন্ট অফ পারপাস

নিজেকে কতটা তুলে ধরতে পারেন অন্যের কাছে বা নিজেকে কিভাবে বিক্রি করতে পারেন সেটা যাচাই করা হয় আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা ইনটেন্ট নামের একটা রচনার মাধ্যমে।  এখানে আপনাকে এক বা দু পৃষ্টার মধ্যে কি কারনে আপনি এই বিষয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, কি কারনে আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিবেন, নেবার পরে কি করবেন এই সব বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে Statement of Purpose Click করুন।

রেকমেন্ডেশন লেটার

শিক্ষা বা আপনার কাজের যোগ্যতার ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে রেকমেন্ডেশন লেটারের উপর। আপনার প্রাক্তন ইউনিভার্সিটি বা কাজের যায়গায় আপনার যে বস ছিল তার চোখে আপনি কেমন মানুষ সেটাই জানাতে হয় এখানে। মোট তিনটা রেকমেন্ডশন লাগে অনেক জায়গায়। নিদির্ষ্ট ফরমও থাকে এর জন্য। আপনাকে এই ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিয়ে কারও কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।  এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখতে পারেন।

আপনার পূর্বের বিভিন্ন পরীক্ষার সার্টিফিকেট তাতে প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি এসবের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয় আপনার শিক্ষাগত যোগত্যা কতটা।  এব্যাপার গুলো সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত বলে তেমন কিছু করা থাকেনা। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা জানার জন্য ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাঙ্ক ব্যালেনস প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়।

এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে।  সেক্ষেত্রে আপনাকে ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে মূলত এই ব্যাপার গুলিই টেক কেয়ার করতে হয়।

ফান্ডিং কিভাবে জোগাড় করতে হয়?

  ফান্ডিং কিভাবে জোগাড় করতে হয়?  

বিদেশে পড়তে চাইলে একটা টেনশন থাকে সেটা হলো টিউশন পে করা যাবে কিভাবে?

বাইরে এ ব্যাপারে সুযোগের অভাব নেই। ইউনিভার্সিটিগুলোতে টিচিং , রিসার্চ, গ্রাজুয়েট এসিসটেন্টশীপ মেলা তেমন দুষ্কর নয়। তার উপর আছে ঘন্টাচুক্তিতে চাকুরী, বাইরে বিভিন্ন দোকানে চাকুরী। আর প্রোগ্রামীং বা ওয়েব ডেভলপমেন্টের কাজ জানা থাকলে তো ‘লারে লা পা পা’। টিচিং এসিসটেন্টদেরকে বিভিন্ন কোর্সের খাতা দেখা, ছাত্রদের সাহায্য করার কাজ করতে হয়। রিসার্চ এসিসটেন্টদেরকে কোন প্রফেসরের আওতায় কোন গবেষনা সাহায্য করতে হয়। এই দুইধরনের কাজে ইউনিভার্সিটি থেকে টিউশন পুরোটা দিয়ে দেয়, আর থাকা খাওয়ার জন্য মাসে বারশ থেকে পনেরশ ডলার বেতন। তবে বিভিন্ন দোকানে চাকুরীটা সত্যিই খুব কষ্টকর এবং আমাদের বাঙ্গালী মানসিকতার উপর বড় ধকল।

আরেকটা ব্যাপার হলো আন্ডারর্গ্যাজুয়েট পড়তে আসলে কিন্তু এইসব চাকুরী মেলা প্রায় অসম্ভব। তাই এক্ষেত্রে বেশীরভাগকে বাইরে ঘন্টা চুক্তির কাজ করতে হয়। কিন্তু মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আসলে এসব ফান্ডিং পাওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়। তাই যত বড় ডিগ্রীতে এনরোল করবেন তত সুযোগ বেশী। গবেষনা, বা সাধারন পড়াশোনা এত বাস্তব কাজের সাথে স¤পৃক্ত যে চাকুরীর ক্ষেত্রে কোন অসুবিধাই হয়না। যে সমস্ত বিষয়ের বাস্তব এপ্লিকেশন নেই সেসব জিনিস এরা সিলেবাস থেকে কবেই বের করে দিয়েছে! এব্যাপারে একজন প্রফেসরের একটা কথা মনে পড়ল। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা এখানে শিক্ষা প্রদান করি না, শিক্ষা বিক্রী করি। তাই যারা শিক্ষা কিনছে তারা যেন না ঠকে সেটা আমাদের দেখতে হয়।

বিদেশে ছাত্র- ছাত্রীরা [মার্স্টাস বা পিএইচডি ] মূলত চারভাবে টিউশন এবং থাকা খাওয়ার খরচ জোগাড় করে থাকে।

১। টিচিং এসিসট্যান্টশীপ।
২। রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ।
৩। ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টাভিত্তিক কাজ।
৪। ইউনিভার্সিটির বাইরে ঘন্টাভিত্তিক কাজ।

প্রতিটি পদ্ধতির ভাল-মন্দ দিক আর কিভাবে যোগাড় করতে হয় সেটা আলোচনা করব এবারে।

  টিচিং এসিসট্যান্টশীপ  

টিচিং এসিসট্যান্টশীপ ব্যাপারটা নির্ভর করে আপনি যে বিষয়ে পড়তে যাবেন সেটার বিভাগীয় প্রধান এবং ভর্তি নির্বাচকের উপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটাকে ব্যবহার করে ভাল ছাত্র যোগাড় করার টোপ হিসেবে। ধরেন আইআইটির কোন ছেলে একটা মধ্যম ধরনের ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করেছে। সেই ইউনিভার্সিটি তখন তাকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে লোভনীয় অফার পাঠাবে। যাতে সে এখানে পড়তে আসে। তাই এখাতে প্রথমেই আর্থিক সাহায্য আশা করে লাভ নেই। তবে প্রথম সেমিষ্টারে ভালো রেজালট করলে তখন টিচিং এসিসট্যান্ট হিসেবে কিছু আশা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কোন প্রফেসরের নেক নজরে থাকলেও অনেক কাজ হয়। কিভাবে এই নেক নজর লাভ করা যায় সেটা পরে আলোচনা করব।

টিচিং এসিসট্যান্ট হিসেবে যে কাজগুলো করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো খাতা দেখা। বিভিন্ন কোসে আন্ডারর্গ্যাজুয়েট ছাত্রদের হোমওর্য়া দেয়া হয়। সেগুলোর খাতাগুলো দেখে দিতে হয়। এছাড়া মাঝে মাঝে প্রফেসরের অনুপস্থিতে ক্লাস নিতে হতে পারে, তাই সাধারনত টিএসই (টেস্ট অফ ¯েপাকেন ইংলিশ) নামের একটা পরীক্ষা দিতে হয় অনেক সময়। তাছাড়া ল্যাব ভিত্তিক কোর্সের টি এ হলে ল্যাবে সাহায্য করতে হতে পারে অনেক সময়।

  রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ  

রিসার্চ এসিসট্যান্টদের কাজ প্রফেসরদের বিভিন্ন গবেষনায় সাহায্য করা। সেইসাথে যে বিষয়ের উপর গবেষনা করছে সেটা তার নিজের গবেষনা পত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তাই কাজটা মন্দ নয়। তবে রিসার্চের ব্যাপারটাই খটোমটো। উপরন্তু প্রফেসরদের আচার আচরনের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেকের জন্য তাই এই কাজটা অতটা পছন্দের নয়।তবে রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ নির্ভর করে স¤পূর্ণ একজন প্রফেসরের উপর। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করবার প্রপোজাল বা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে সে গবেষনা গ্রহন যোগ্য মনে হলে তারা সেই প্রফেসরকে কিছু অর্থ যোগান দেন। সেই অর্থ থেকে কিছু ছাত্রকে রিসার্চ এসিসট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তাই সেই সমস্ত ছাত্রদেরও সবসময় দৌড়ের উপর থাকতে হয়।

রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ পাওয়ার মূল ব্যাপার তাই হচ্ছে কোন প্রফেসরের নেক নজরে থাকা। কিভাবে এই নেকনজরে আসা সম্ভব? প্রথমত ভর্তির আগে থেকেই এব্যাপারে চেষ্টা শুরু করতে হবে। উদাহরন স্বরূপ একটি বিষয় বেছে নিই: মনে করুন আপনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান। তবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রোবোটিক্স বিষয়ে আপনার সবচেয়ে আগ্রহ বেশী। সুতরাং আপনার কাঙ্খিত ইউনিভার্সিটিতে যে প্রফেসর এ বিষয়ে কাজ করছে তাকে খুঁজে বার করলেন ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ থেকে। তারপর তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি তার বর্তমান রির্সাচ গুলো ঘাঁটাঘাটি করলেন। তারপর তাকে ইমেইল করুন তার রিসার্চের ব্যাপার জানতে চেয়ে। এব্যাপারে সাবধান – প্রথম ইমেইলে তাকে কোনভাবেই ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার মূল লক্ষ্যা থাকবে রিসার্চের ব্যাপারে আলোচনা করা।

এভাবে প্রাথমিক যোগাযোগ শেষ হলে পরে সুযোগ খুঁজুন আপনার ব্যাপার জানানোর জন্য। অনেকে মুখের উপর না করে দিবে। কিন্তু আপনার কাছে দরকার মনে হলে পরে লেগে থাকতে ভুলবেন না। লেগে থাকা মানে রিসার্চের ব্যাপারে কাজ করে যাওয়া বিশ্বাস স্থাপন করা এসব। অনেক সময় দেশে থেকেই ফোন করে আলাপ করুন। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে যদি ক্লাস শুরু করে ফেলেন (অবশ্যই প্রথম সেমিস্টারের টাকা পরিশোধ করে) তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তার সাথে সেমস্ত ছাত্ররা কাজ করছে তাদের সাথে কথা বলুন। অন্যান্য ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন যোগাযোগ এই ক্ষেত্রে খুবই ইফেক্টিভ।

  ঘন্টা ভিত্তিক কাজ  

ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ খুব সুলভ না হলেও মোটামুটি পেতে খুব সমস্যা হয় না। লাইব্রেরীতে বই আদান-প্রদানের কাজ, বিভিন্ন অফিসে টুকটাক সহায়ক কারীর কাজ এধরনের বিভিন্ন কাজ করতে হতে পারে এক্ষেত্রে।
সমস্যা এখানে দুটো:

১। থাকা-খাওয়ার খরচটা উঠে আসলেও টিউশনটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে।
২। ঘন্টা চুক্তিতে কাজ বলে ঘড়ি ধরে আপনাকে বসে থাকতে হবে অফিসে। তবে কাজ চলে যায় এরকম একটা কাজ পেলেও।

ঘন্টা ভিত্তিক ইউনিভার্সিটির কাজ গুলো অনেক সময় ইউনিভার্সিটির ওয়েবাসইটে পাওয়া যায়, অনেক সময় বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে জানা যায়, আবার অনেক সময় প্রফেসররাও জানাতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রোগ্রামীং বা ওয়েব ডেভলপমেন্ট জানা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে আসল পেইন হল বাইরে কাজ করতে যাওয়া। এই কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন পেট্রল পা¤পগুলোতে কাজ করা, বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করা। এই বাইরের কাজ নিয়ম বর্হিভুত হওয়ায় খুব অল্প দরে কাজ করতে হয়। আর রক্তচোষা মালিক ছিবড়ে ফেলে একবারে। তবুও নিতান্তই দরকার পড়লে এধরনের কাজ পেতে দেশী লোকদের নেটওর্য়াক ব্যবহার করতে পারেন।

SCHOLARSHIP and Funding আরো বেশি জানতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন-

Open chat
Hello 👋
Can we help you?