ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি কি চায়? আপনার কোন কোন যোগ্যতা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য? এই সব বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো।
নিয়ম কানুন প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম নিয়ম কানুন থাকে। সেগুলোর পরেও সবগুলোতে সহজ ভাষায় একটা সামঞ্জস্য আছে। সেই সামঞ্জস্যের অংশটুকুন নিয়ে লেখা হচ্ছে। তারপরেও যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতে চাচ্ছেন-তাদের স্পেশাল কোন নিয়মকানুন আছে কিনা সেটা তাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে অনুরোধ করবো।
বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গেলেই কিছু ব্যাপার জানতে হবে। বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার চেয়ে অনেক অনেক অনেক আলাদা। প্রথমতঃ আসলে আমাদের দেশে যেমন একটা নির্দিষ্ট পরীক্ষায় ভালো করে সাথে সাথে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া যায়- বিদেশে র পদ্ধতিটা ঠিক এমন নয়। ভর্তির জন্য কিছু পরীক্ষা দেয়া লাগে বটে-তবে সেই পরীক্ষাগুলো ভর্তির অনেক অনেকগুলো অনুষঙ্গের মধ্যে একটা অনুষঙ্গ মাত্র-আর কিছুই নয়। পরীক্ষার রেজাল্ট যতটা গুরুত্বপূর্ণ-এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি, এডমিশন এসে, লেটার অব রেকমেন্ডেশন ইত্যাদি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায় অনার্স কোর্স করতে যেতে চান, তবে SAT অথবা ACT পরীক্ষার পর আপনার পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তিফরম সংগ্রহসহ যাবতীয় নিয়ম জেনে নিন। আর আপনি যদি গবেষণার কোনো বিষয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাহলে যার অধীনে আপনি গবেষণা করতে আগ্রহী, তাকে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, থিসিস দিয়ে মোটিভেশান চালান। স্টেটমেন্ট অব মোটিভেশান সিভি পাঠান।
এপ্লিকেশনের এসে
১) TOEFL এবং IELTS
২) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
৩) এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস
৪) লেটার অব রেকমেন্ডেশন
এপ্লিকেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কমন এপ্লিকেশনের এসে বা রচনা। এই বিষয়টাও একটু বুঝিয়ে বলার জন্য ব্যাখ্যা হিসাবে লিখছি –
এডমিশন এসে অনেকের মতে এডমিশন এসে বা রচনাটাই ভর্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে ভাইটাল অংশগুলোর মাঝে একটা। এই এসে দিয়ে একজন এডমিশন অফিসার শিক্ষার্থীকে চিনতে পারবে-জানতে পারবে। এসের টপিক থাকে এবং সেই টপিকে মোটামুটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তোমার এবং তোমার প্যাশনের সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হয়। এই এসেটা একটু ধীরেসুস্থে-বুঝে শুনে লিখতে হবে। এই এসেটা এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে সবার থেকে আলাদা করে তোমার লেখাটা ফুটে ওঠে। এসে লেখার তেমন কোন নিয়মকানুন নেই তবে একটা ইনফরমাল আপন-আপন আবহাওয়া আছে যেটা আমাদের অতিফরমাল এসএসসির ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ মার্কা রচনার অনেকটাই বিপরীত। কাজেই এই ভাবধারাটা বোঝার জন্য কিছু স্যাম্পল এসে পড়া যেতে পারে। গুগলে সার্চ দিলেই অনেক স্যাম্পল এডমিশন এসে পাওয়া যাবে। কেউ যদি চায় তাহলে Application Guide এই সেকশনের স্যাম্পল এসে গুলোও দেখতে পারে। স্যাম্পল এসে ছাড়াও এখানে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় আর প্রয়োজনে অনেক প্রশ্ন পোস্টও করা যায়। কাজেই ভর্তিচ্ছু সকলকে বলবো গ্রুপটা একবার ঘুরে দেখতে।
SAT এবং SAT Subject Tests
এডমিশনের এই অংশটাকে নিয়ে অনেকে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন কারণ এই পরীক্ষাত ব্যাপারটি আমাদের মোটামুটি পরিচিত। আর এই পরীক্ষাটি একক নির্ধারণী বিষয় না হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ে জানাও দরকার। প্রথমে বলি SAT এর কথা। এটা একটা বেসিক পরীক্ষা। আপনি যে বিষয়েই পড়তে চান না কেন-আপনাকে এই পরীক্ষাটি দিতে হবে। পরীক্ষাটি ২৪০০ মার্কে হয়-চার ঘন্টার পরীক্ষা।নেয়া হয় তিনটি অংশে-
১) ম্যাথ
২) ক্রিটিকাল রিডিং আর
৩) রাইটিং।
তিনটাতে আটশ করে মোট চব্বিশ শো।
১) ম্যাথ অংশটা বেশ সোজা। মোটামুটি মাথা ঠান্ডা রাখলে ক্লাস টেনের একটা ছেলেরও ম্যাথগুলো ভুল করার কোন কারণ নেই। তবে সমস্যাটা হলো-কম সময়ে অনেক বেশি অংক করতে হয়। কাজেই এই সময়ের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিকঠাক অংক করতে পারাটা একটা প্রাকটিসের ব্যাপার। রাইটিং অংশ মূলত গ্রামারভিত্তিক। এরর আইডেন্টিফিকেশন-রিরাইটিং এর মতন বিষয়গুলো থাকে। তবে এই গ্রামারটুকুন আমাদের চিরপরিচিত ব্রিটিশ গ্রামার থেকে একটু ভিন্ন ধাঁচের। একটু বেশি কনভারসেশনাল। তবে মোটামুটি একটু পড়াশোনা আর কারো সামান্য গাইডেন্স পেলে ব্যাপারটা বেশি একটা কঠিন নয়। সাথে অবশ্য একটা এসেও লিখতে হয়। কেউ যদি এডমিশন এসে নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে তাহলে এই এসেতেও খুব একটা সমস্যা হবেনা-তবু বইয়ের কিছু মডেল দেখা যেতে পারে।
২) রিডিং অংশটা একটু ক্রিটিকাল বলেই নাম ক্রিটিক্যাল রিডিং। আনসিন পেসেজ থাকে-সেগুলোর থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এইখানে কিছু টিপস-ট্রিকসের ব্যাপার আছে। বই আর কারো সাহায্য নিলে সহজেই পারা যেতে পারে। সাথে যে ঝামেলার জিনিসটা আছে সেটা হল সেনটেন্স কমপ্লিশন। এইখানে প্রচুর ভোকাবুলারির জ্ঞান লাগে আর বেশ কিছু শব্দ মুখস্ত করতে হয়। তাই বলে ডিকশনারি নিয়ে বসে যেতে হবে এমন নয়। শব্দ শেখারও কিছু কায়দা আছে।
এইসব কায়দা-নিয়মকানুন-টিপস ট্রিকস খুব সুন্দর করে লেখা আছে Princeton Review এর Cracking the SAT বইটাতে। এছাড়া Barrons এর SAT বইটাও বেশ ভালো। তবে প্রাকটিস টেস্টের জন্য Collegeboard এর নীল রঙের SAT বইটি ব্যবহার করা নিরাপদ। এই বইগুলোর দাম খুব বেশি না। নীলক্ষেতে আর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় সহজেই পাওয়া যেতে পারে।তেমন সমস্যা নেই। কেউ প্লিজ মনে করবেন না যে পরিক্ষাটি খুব কঠিন-কারণ এটা খুব একটা কঠিন নয়। শুধু দরকার একটু পরিশ্রম আর গাইডেন্স কাজেই ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। কেউ যদি SAT এর জন্য কোচিং করতে চান তাহলে এক্সিওম এ যোগাযোগ করতে পারেন।
তবে কোচিং ছাড়া পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলা অসম্ভব কিছু না আর আমি সাহসী শিক্ষার্থীদের সেটা করতেই অনুপ্রাণিত করবো। সবচেয়ে ভাল হয় যদি প্রাইভেট কোন টিউটর খুঁজে পান-কারণ সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট সমস্যা-বিশেষ করে এসের ব্যাপারে খুব ভালো নজরদারি পেরে পারেন। আমি সবকিছু খোলাখুলি জানিয়ে রাখছি বলে কারো কাছে মনে হলে দুঃখিত-আমি আসলে অন্যদের মতন ঘোলাটে করে একটা ব্যাখা লিখতে চাইনি। যেমন ঘটনা তেমন করে লিখে দিলাম। এখন আপনারা বুঝে নিন।
SAT Subject Test হলো মূলত নির্দিষ্ট সাবজেক্টের উপর একেকটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটি না দিলেও চলে তবে বিশেষত বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে পড়তে চায় এমন মানুষদের এই পরীক্ষাটি দেয়া উচিত। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য আবার এটাকে অনিবার্য বলেও ঘোষণা দেয়।Mathematics,Physics,Chemistry,Biology বিভিন্ন বিষয়ে Subject Test দেয়া যায়। কে কোন কোন সাবজেক্ট টেস্ট দেবে এটা তার সাবজেক্ট চয়েসের ওপর নির্ভর করে। আমার এক বন্ধু গণিতে অনার্স করতে চায়-সে Mathematics আর Physics এর Subject Test দিয়েছে। এই সাবজেক্ট টেস্টগুলোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও এমনি SAT এর মতন। এগুলোর জন্যেও Barrons এর বই পাওয়া যায়। সিলেবাসগুলো আমাদের ইন্টারের সিলেবাসের মতই আর প্রশ্ন বেশ একটা কঠিন নয়। Barrons থেকে কিছু প্রাকটিস করলেই পারা যেতে পারে।
IELTS একটা অপরিহার্য পরীক্ষা। অনেকে আবার IELTS এর বদলে TOEFL ও দেয়-কিন্তু ও IELTS সহজতর আর অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য। মূলত এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর রেজাল্ট নির্ভর করেনা। এইটা একটা ইংরেজিতে কমিউনিকেট করতে পারার প্রমাণ। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর জন্য একটা পাসিং মার্জিন দেয় (সাধারণত ৬) তার বেশি পেলেই তারা ইংরেজিতে পারদর্শী ধরে নেয়। IELTS এর জন্যে AGI কোচিং করায়। রাস্তায় হাটলেই হাজার বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে যে SAT দিয়েছে তার কাছে IELTS পানিভাত।
৩। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট হিসেবে এসএসসির সনদ, ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালের রেজাল্ট আর সেকেন্ড ইয়ারের টেস্টের রেজাল্ট জমা দিতে হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই-এইগুলা খুব একটা অতিজরুরি না। কিন্তু প্রথম সারির ছাত্ররা স্কলারশীপের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রাধিকার পায়। এই ট্রান্সক্রিপ্টগুলো একাডেমিক কাউন্সিলরের মারফত পাঠাতে হবে। নিজের মতন করে কাউন্সিলরকেও একটা কমন এপ একাউন্ট খুলে দিতে হবে আর সেইখানে এই ডকুমেন্টগুলো পিডিএফ আকারে আপলোড দিতে হবে।
৪। এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি
এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি ওদের কাছে বড় একটা বিবেচনার বিষয়। এই জিনিসটা এডমিশনের কাজে অনেক সাহায্য করে। মূলত কারো যদি কোন চ্যারিটি-সোশ্যাল ওয়ার্ক বা আন্তর্জাতিক সনদ থাকে, তাহলে সেটাকে ওরা বিশেষ মূল্যায়ন করে। তবে কারো যদি মনে হয় তার এরপর কোন এচিভমেন্ট নেই-তাহলে খুব ভয় পাবার কিছু নেই কারণ অনেকেই আছে যাদের এমন কোন রেকর্ড নেই কিন্তু অন্য অনুষঙ্গগুলো এতটাই পাকপোক্ত যে অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
৫। লেটার অব রেকমেন্ডেশন
লাস্ট বাড় নট দ্য লিস্ট-লেটার অব রেকমেন্ডেশন! এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। মূলত গাইডেন্স কাউন্সিলর সহ আরো দুইজন টিচারের কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে সেটা সাবমিট করতে হয়। এক্সিওম এর মাধ্যমে বা মেইল করে সেগুল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো যায়। তবে কোনভাবেই এই চিঠিগুলো যাতে ম্যাড়মেড়ে চারিত্রিক সনদের মতন না হয়। পত্রটা পড়ে মনে হতে হবে যে পত্রকার শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে এবং ব্যক্তিগতভাবে তার গুণাবলি তুলে ধরে তাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগ্য চয়েস হিসেবে ব্যাখ্যা করবে। এই পত্রটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি শিক্ষক আর ছাত্র মিলেঝুলে ঠিক করে যে কি কি লেখা যায়।
ভর্তির জন্য আপনার যে সমস্ত যোগ্যতা দেখবে সেগুলো একটা তালিকা আকারে দেয়া যাক প্রথমে:
১। আপনার ইংরেজীতে কমিউনিকেশনের ক্ষমতা
২। আপনার বুদ্ধিমত্তা – গানিতিক, যৌক্তিক, (ইংরেজী) ভাষাগত দক্ষতা
৩। নিজেকে প্রকাশ করবার বা বিক্রি করবার ক্ষমতা
৪। শিক্ষা এবং কাজের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা
৫। আপনার শিক্ষা এবং তার মান
৬। কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিভার্সিটি আপনার টিউশন ফি দেবার মত অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে কিনা সেটাও দেখে থাকে
ভাষাগত দক্ষতা
আপনার ইংরেজী কমিউনিকেশনের যোগ্যতা পরিমাপের পদ্ধতির জন্য ইউনিভার্সিটিগুলো নির্ভর করে IELTS টোফেলের উপর। টোফেল একটি পরীক্ষা যেখানে আপনার ইংরেজী শোনা (কতগুলো কথা হেডফোনের মাধ্যমে শুনে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে), ইংরেজী পড়া (কতগুলো প্রশ্ন পড়ে উত্তর করতে হবে), ইংরেজী লেখা (দুটো রচনা লিখতে হবে) এইসব যাচাই করা হয়।
বুদ্ধিমত্তার যাচাই – গানিতিক, যৌক্তিক (ইংরেজী) বুদ্ধিমত্তার যাচাই করবার জন্য ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে থাকে জিএরই নামের টেস্টের উপর। এতে তিনটি সেকশন থাকে –
গানিতিক সমস্যা সম্বলিত সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
ইংরেজী ভাষার দখল স¤র্পকিত একটি সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
আর যুক্তিভিত্তিক রচনা লেখবার সেকশন (মোট নাম্বার ৬০০)
মোট কত নম্বর পেতে হবে সে ব্যাপারে সাধারনত ধরা বাঁধা নিয়ম থাকেনা। তবু ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ ঘেঁটে দেখতে ভুলবেন না। বিস্তারিত জানতে: Click Now
অনেক সময় বিষয় ভিত্তিক জিআরই বা কর্মাসের পড়ার জন্য জিম্যাট পরীক্ষা চাইতে পারে কোন কোন ইউনিভার্সিটি। এ ব্যাপারে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে পারেন।
স্টেটমেন্ট অফ পারপাস
নিজেকে কতটা তুলে ধরতে পারেন অন্যের কাছে বা নিজেকে কিভাবে বিক্রি করতে পারেন সেটা যাচাই করা হয় আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা ইনটেন্ট নামের একটা রচনার মাধ্যমে। এখানে আপনাকে এক বা দু পৃষ্টার মধ্যে কি কারনে আপনি এই বিষয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, কি কারনে আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিবেন, নেবার পরে কি করবেন এই সব বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে Statement of Purpose Click করুন।
রেকমেন্ডেশন লেটার
শিক্ষা বা আপনার কাজের যোগ্যতার ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে রেকমেন্ডেশন লেটারের উপর। আপনার প্রাক্তন ইউনিভার্সিটি বা কাজের যায়গায় আপনার যে বস ছিল তার চোখে আপনি কেমন মানুষ সেটাই জানাতে হয় এখানে। মোট তিনটা রেকমেন্ডশন লাগে অনেক জায়গায়। নিদির্ষ্ট ফরমও থাকে এর জন্য। আপনাকে এই ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিয়ে কারও কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখতে পারেন।
আপনার পূর্বের বিভিন্ন পরীক্ষার সার্টিফিকেট তাতে প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি এসবের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয় আপনার শিক্ষাগত যোগত্যা কতটা। এব্যাপার গুলো সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত বলে তেমন কিছু করা থাকেনা। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা জানার জন্য ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাঙ্ক ব্যালেনস প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়।
এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে মূলত এই ব্যাপার গুলিই টেক কেয়ার করতে হয়।