উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ
বাংলাদেশ থেকে ইদানিং কালে বিদেশে পড়তে যাবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। আগে যা ছিলো শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত আর ব্যতিক্রমী মেধাবীদের মাঝে সীমাবদ্ধ এখন আর তেমন নেই। তীব্র আগ্রহ থাকলে আজকাল যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাতে পারে ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ার নানান দেশে ।
অনেকে আবার দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পড়ালেখা শেষে সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ছেন। আবার মুদ্রার ওপিঠেই আছে অনেক ব্যার্থতার কাহিনী, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী শুধুমাত্র সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে যেতে পারেননি তার পছন্দের দেশের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমরা চেষ্টা করছি আপনার ভার্চুয়াল গাইড হতে। আপনি কি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী? তাহলে এই ওয়েব সাইট আপনার জন্য। এখানে আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোর্স সিলেক্ট থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত সব কিছুই আছে।
উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ :
আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও ব্যক্তিগত ভালোলাগা এই দুই এর সমন্বয়ে আপনার সাবজেক্ট পছন্দ করুন। উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় ও ক্যারিয়ার সম্বন্ধে জানতে ক্লিক করুন ।
প্রয়োজনে আপনার ব্যাক গ্রাউন্ডের সিনিয়রদের পরামর্শ নিন। মেজর সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনি পরবর্তী ধাপ তথা কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান আপনার পছন্দের মেজর পড়ায় না তা তালিকা থেকে বাদ পড়বে।
কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার আগে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ/অপছন্দ বিবেচনা করাটাও জরূরী । অনেকের বিশেষ কোন দেশ সম্পর্কে fascination থাকে, আবার অনেকের বিশেষ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহ থাকে। তাই আগে নিজে নিজে এই প্রশ্ন গুলোর জবাব খুজুনঃ
* আমি কি কোন বিশেষ দেশ/শহর/বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহী?
* আমার আর্থিক সামর্থ্যও একাডেমিক রেজাল্ট আমাকে কতটা flexibility দিবে?
* IELTS/TOEFL ইত্যাদি স্কোর করার জন্য আমি কতটা প্রস্তুত?
মনে রাখবেন, এই প্রশ্ন গুলোর জবাব আপনার ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রথম দুই ধাপ যদি আপনি পার হয়ে আসেন তাহলে আপনার কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার পরিধি অনেক টাই ছোট হয়ে এসেছে। কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট খুবই চমৎকার একটি মাধ্যম। সমস্যা যেটা হয় তাহলো ইন্টারনেটে ডেটার সমুদ্র থেকে নিজের প্রয়োজনমত তথ্যটি খুঁজেবের করাটা। তাই আপনাকে সাহায্য করতে আমারা এই ওয়েব সাইটটি কে এমন ভাবে সাজিয়েছি যেন আপনি স্বল্পতম সময়ে আপনার দরকারি তথ্যটি পেয়ে যান। আমাদের Study abroad সেকশনে বিভিন্ন দেশের কলেজ/ইউনিভা র্সিটির তথ্য পাবেন।
সম্ভবতঃ আপনি পছন্দের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলেক্ট করে ফেলেছেন। এখন দেখতে হবে এদের চাহিদা (Requirements) গুলো কি কি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে অ্যাপ্লিকেশন শুরু করতে হবে।
যা যা দেখতে হবে তার মাঝে অন্যতমঃ
• IELTS/GRE/TOEFL ইত্যাদি কোন স্কোর চায় এবং কত লাগবে?
• প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কি কি লাগবে?
• অ্যাপ্লিকেশন ফী।
• কখন সেমিস্টার শুরু হয় এবং আবেদনের সময় সীমা।
• স্কলারশীপের সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি।
সর্বশেষ ধাপ হল পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন পাঠানো। নিঃসন্দেহে ভর্তির আবেদন কাজটি খুবই গুরূত্বপূর্ণ এবং তা সতর্কতার দাবী রাখে। যদিও কাজটি খুব কঠিন কিছু নয়। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে, সঠিক সময় সীমার মাঝে, চাহীদা মাফিক ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করলে আবেদন গৃহীত হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়। উত্তম হল ডেড লাইন শেষ হবার ৪/৫ মাস আগেই এপ্লাই করা, এতে আপনার আবেদনটি সঠিক ভাবে প্রসেস হবে এবং আপনি অন্যান্য Requirement গুলো Fulfill করার পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
এক্সিওম আপনার ক্যারিয়ার ও শিক্ষা কাউন্সিলিং, বৃত্তি, ভর্তি, ভিসাসহ সুবিধাজনক ও লাভজনক বাসস্থান সনাক্ত করার জন্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। আপনার প্রয়োজন যাই হোক না কেন আমাদের এমন বিস্তৃত পরিষেবাগুলি বিনামূল্যে দিতে আমরা প্রস্তুত আপনার পাশে। আমাদের সাথে যোগাযোগ এর ঠিকানা ।