উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া কেমন দেশ?
মালয়েশিয়ার উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে দীর্ঘ দিন সহযোগিতা গাইড লাইন দিচ্ছে এক্সিওম। আর এই প্রতিষ্ঠানটির সিইও বিএম নাজির হোসাইন। তিনি জানাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার খুটিনাটি তথ্য।
প্রশ্ন : বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশি কেমন দেশ?
উত্তর : প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার। তাই উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে যতই দিন যাচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষার হার ততই বেড়ে চলছে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে ইউরোপ-আমেরিকায় পড়তে যেতে অনেক খরচ। সেদিক থেকে মালয়েশিয়া হতে পারে শিক্ষার্থীদের পছন্দের দেশ।
প্রশ্ন : পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়া কেমন দেশ?
উত্তর : বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পছন্দ মতো বিষয়ে ভর্তি হতে না পেরে আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও অনেক শিক্ষার্থী স্বপ্ন পূরণে ইউরোপ আমেরিকায় পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। লক্ষ্য থাকে পার্টটাইম জব করে ওই অর্থ দিয়ে পড়াশোনার ব্যয় নির্বাহ করার। কিন্তু বাস্তবিক ভাবে যখন স্বপ্ন পূরণে বাধাগ্রস্ত হয় তখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা হয় না শিক্ষার্থীর। ফলে এমন পরিস্থিতিতে যেসব শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্যই থাকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের, সেসব শিক্ষার্থী বেছে নিতে পারেন পার্শবর্তী দেশ মালয়েশিয়া কারণ সেখানে শিক্ষার্থীরা কয়েকভাবে উপকৃত হচ্ছে। কম খরচে পড়াশোনা করতে পারছে, পাশাপাশি থাকছে পার্ট টাইম জবের সুযোগ। মালয়েশিয়ায় ওই একই মানের শিক্ষা ব্যয়, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক খরচ ইউরোপের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে এ দেশটিকে নিশ্চিন্ত মনে বেছে নিচ্ছেন।
প্রশ্ন : সেখানে পার্ট টাইম জবের সুযোগ কেমন?
উত্তর : বিশ্বের বর্তমানে অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ মালয়েশিয়া। পার্টটাইম জবের সুবিধাসহ সেখানে রয়েছে কম বেশি বেতনে পার্ট টাইম জব করার সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে পার্ট টাইম জব দিয়ে পুরো খরচ উঠানো সম্ভাব নয়।
প্রশ্ন : সেখানে কি কি কোর্স করা যেতে পারে?
উত্তর : মালয়েশিয়ায় রয়েছে গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমা কোর্সসহ ক্যারিয়ারভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ।
প্রশ্ন : ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ কেমন?
উত্তর : মালয়েশিয়ার প্রথম সারির কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ আছে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ। কারণ ওইসব দেশের আধুনিক ও সমৃদ্ধ ক্যাম্পাস মালয়েশিয়ায় থাকায় একজন শিক্ষার্থী ৪ বছর মেয়াদি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্বপ্ন ব্যয়ে ২ বছর মালয়েশিয়ায় করার পরই ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ পাচ্ছেন। ইউরোপ-আমেরিকার প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস রয়েছে মালয়েশিয়ায়। যেমন ইন্টি লরেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ( লরেট এডুকেশন গ্রুপ, ইউএসএ), মোনাশ, সুইনবার্ন কার্টেন (অস্ট্রেলিয়া), নটিংহাম (ইউকে) অন্যতম।
প্রশ্ন : আপনারা কত দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন?
উত্তর : আমরা বিগত ২০০৩ সাল থেকে সততার সাথে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ৫৬টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এক্সিওম । আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলব সেখানে পড়তে যাওয়ার আগে যেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ট তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেনে নেয়। তাহলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। কারণ সেখানে অনেক নিম্নমানের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।