Author - Axiom

জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের প্রক্রিয়া ও বৃত্তি

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রায় ৩০০ ইনস্টিটিউশন রয়েছে । এর মধ্যে ৮২ টিবিশ্ববিদ্যালয়, ১৩৬ টি অ্যাপ্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিউজিক ও ফাইন আর্ট বিষয়ক ৪৬টি কলেজ রয়েছে । এবং প্রতিষ্ঠানে ২০লাখ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১২ শতাংশ বিদেশী । বিদেশীদের মধ্যে আবার ৯ শতাংশই পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা জার্মানিতে শেষ করেছেন।  গত ১৫ বছরে জার্মানিতে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাদ্বিগুণ বেড়েছে ।   জার্মানীর বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানিতে মূলত তিন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে ।

প্রথমত, অ্যাপ্লায়েড বিশ্ববিদ্যালয় (Applied Science University)। যেখানে ছাত্রদের মূলত চাকরি অরিয়েন্টেড বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়। গবেষণামূলক কাজ এখানে হয় না বললেই চলে।

দ্বিতীয়ত, টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical University), যেখানে প্রকৌশলসহ বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলো পড়ানো হয়। সাথে সাথে রয়েছে ব্যাপক গবেষণা মূলক প্রকল্প।

তৃতীয়, ভাগে আছে নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো মূলত ইউনি (UNI) হিসেবে পরিচিত।  এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য সহ সব অনুষদই পড়ানো হয়।  আকারে ইউনিগুলো বড় হয়ে থাকে।

অনেক ইংলিশ ভাষাভাষী দেশে ছাত্রবৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে (Self Finance) পিএইচডি করার সুযোগ থাকঔের জার্মানি সহ অনেক ইউরোপীয় দেশ এই নিয়মের ব্যতিক্রম।  এখানে পিএইচডি পর্যায়ের সব ছাত্রই প্রায় চাকরির সমপরিমাণ বৃত্তি বা বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু এসব সুযোগ বিজ্ঞান বা প্রকৌশল বিষয়ের ছাত্রদের জন্যই বেশি।

জার্মানির উল্লেখ যোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হচ্ছে লুদভিকম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ, ফ্রিইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটি, উলম ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাডহনেফ প্রভৃতি।

কখন যাবেন জার্মানী

জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য আসতে পারেন কয়েক ভাবে।  উচ্চমাধ্যমিক পাস করে কেউ চাইলে তাকে জার্মান ভাষা কোর্সে ভর্তি হতে হবে।  খুব কম সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ইংলিশ ভাষায় কোর্স চালু আছে।  প্রথম চেষ্টা করতে পারেন ইংলিশ ভাষায় পড়ানো হয় এমন কোনো  Subject এ ভর্তি হতে।  তানা পেলে ভাবে ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তি হওয়া যেতে পারে।

প্রথমত, বাংলাদেশে জার্মান ভাষার কিছু প্রাথমিক জ্ঞান নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য Apply করুন।  ভর্তি হতে পারলে এখানে এসে মূল কোর্স শুরুর আগে ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে জার্মান ভাষার বাকি কোর্স করে ফেলুন। অন্য ভাবে ও আসা যায়, আপনি সরাসরি বাংলাদেশ থেকে জার্মানির যেকোনো ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে Apply করুন।  ভর্তি হতে পারলে ভাষা শিক্ষার জন্য ভিসা পাবেন।  এখানে এসে ভাষা শিক্ষা সমাপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পছন্দের Subject-এ ভর্তি হতে পারেন।  তবে এই প্রক্রিয়া বেশ Costly. মাস্টার্সে ভর্তির জন্য প্রথমে ডাড (daad.de)-এর ওয়েব সাইট থেকে কোনো কোনো ভার্সিটিতে আপনার সাবজেক্ট আছে তার তালিকা তৈরি করুন।  আপনার যোগ্যতা (যেমন রেজাল্ট, TOEFL/IELTS ইত্যাদি) পুরোপুরি খাপ না খেলেও নির্দ্বিধায় Apply করুন।

পিএইচডির জন্য সরাসরি ধঢ়ঢ়ষু করতে পারেন।  ভার্সিটির ওয়েব সাইট থেকে আপনার সাবজেক্ট সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ইনস্টিটিউট গুলোর তালিকা তৈরি করুন। ইনস্টিটিউট প্রফেসরকে সরাসরি বসধরষ করুন।  জানতে চান পিএইচডির সুযোগ আছে কিনা।  যদি ও জার্মান বা ইউরোপীয় মাস্টার্স ডিগ্রি না থাকলে সরাসরি পিএইচডিতে নিতে চাননা।  প্রফেসর যদি রাজি হন সেক্ষেত্রে বুঝবেন তার পর্যাপ্ত ফান্ড আছে আপনার জন্য।  আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশে অনেকের একটা ভুল ধারণা হচ্ছে, উচ্চশিক্ষা করতে হবে স্কলারশিপ নিয়ে, আর তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য।  পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ জরুরি।

উচ্চশিক্ষার তথ্য

জার্মানির উচ্চশিক্ষা সর্ম্পকে তথ্য পাবেন কিভাবে? প্রথমকথা, আপনাকে ইন্টারনেটে লেগে থাকতে হবে।  নিয়মিত ইন্টারনেটে বসা, সার্চ করা ও ব্যাপক যোগাযোগ অত্যাবশ্যক।  ইন্টারনেটে আপনার পরিচিতি সার্কেল বাড়াতে হবে। জার্মানি ও এর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য, ছাত্রবৃত্তি সহ অন্যান্য তথ্যেও জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস গুলোর মধ্যে জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জসার্ভিস ( https://www.daad.de/en) গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন সাবজেক্টের তালিকা ও স্কলারশিপের তথ্য পাবেন। স্কলারশিপের জন্য জার্মান সায়েন্স ফাউন্ডেশন DFG,( http://dfg.de/en ) জার্মান শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় BMBF,( http://www.bmbf.de) উল্লেখ যোগ্য।  এসব সংস্থার ওয়েব সাইটের সংশ্লিষ্ট ইংলিশ সংস্করণে আপনাকে ব্যাপক সার্চ করতে হবে।

বৃত্তির সুযোগ

জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়েচেভেলের ওয়েব সাইট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর আড়াই লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী এবং ২৩ হাজার পিএইচডি গবেষক জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হন ৷ এই বিশাল সংখ্যার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ শতাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকেন ৷ ডিএএডি বা জার্মান ছাত্রবিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী জার্মানি পড়াশোনার সুযোগ পান৷ বর্তমানে ৪৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ৷ এই প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি ভোগীদের ৭০ শতাংশই আসেন বিদেশ থেকে ৷ স্নাতক কোর্সের শিক্ষার্থীরা মাসে ৬৫০ ইউরো, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা ৭৫০ ইউরো আর পিএইচডি গবেষকেরা এক হাজার ইউরোপেয়ে থাকেন বৃত্তি হিসেবে৷ তবে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগ সীমিত। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য জার্মানিতে যান শিক্ষার্থীরা।

জার্মানিতে পড়ার বিষয়

জার্মানিতে বর্তমানে ৪৫০ টির বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গভর্ন্যান্স, পলিটিক্যাল সায়েন্স, অ্যাড ভান্সড ম্যাটারিয়ালস, অ্যাড ভান্সড অনকোলজি, কমিউনিকেশন টেকনোলজি, এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ফিন্যান্স, মলিকিউলার সায়েন্স, বিভিন্ন ভাষা বিষয়ে পড়াশোনা, পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স সহ প্রকৌশল ও জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

আবেদন প্রক্রিয়া

অনলাইনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সব প্রক্রিয়া ও বৃত্তি সম্পর্কে জানা যায়। কাছ থেকে সরাসরি পরামর্শ নিতে পারেন।  জার্মানির শিক্ষা ব্যবস্থা, দৈনন্দিন জীবন যাপন,পড়ালেখা-চাকরির সুবিধা সহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে Study in Germany এ সাইট থেকে।

বিষয় নির্ধারণ

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণের ব্যাপারে আপনাকে বুদ্ধিমান হতে হবে।সব বিষয়ে (Subject) ফান্ড পর্যাপ্ত নয়।বাংলাদেশ থেকে এক জন ছাত্র যা ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে আসে, তা জার্মানির মতো হাইটেক দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়।এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের নতুন জিনিস জানা এবং শেখার পৃহা থাকতে হবে।ভালো বিষয়, ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্র বৃত্তির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে ইন্টানেটে সার্চ করা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। বিগত বছর গুলোতে যেসব ছাত্র উচ্চ শিক্ষার জন্য জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছে তার প্রায় ৯৫ শতাংশ ছাত্রই সফল ভাবে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে চাকরি, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরেট গবেষণা বা বিভিন্ন গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন।  মজার ব্যাপার হলো সংখ্যায় কম হলে ও বাংলাদেশী ছাত্ররা পার্শ্ববর্তী ভারত বা পাকিস্তানের ছাত্রদের তুলনায় বেশি গুণ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে।  বর্তমানে প্রায় অর্ধ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স চালু আছে। ধীরে ধীরে সব বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয়ে ইংরেজি মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স কোর্স চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।  ছাত্রদের দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে ব্যবহারিক জার্মান ভাষা শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কোর্স গুলোতে জার্মান ভাষার কোর্স বিনা মূল্যে শেখানো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে খণ্ড কালীন ছাত্র চাকরি বা পিএইচডি গবেষণার জন্য জার্মান ভাষাতে মন একটা জরুরি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে পার্ট টাইম কাজের জন্য জার্মান ভাষা জানা জরুরি।

খন্ড কালীন কাজ

একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিমাসে ৮৬ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পায়।  ৫০-৬০ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ পেলেই মোটামুটি খরচ চালানো যায়।  এছাড়া ছয় মাস অর্ধ দিবস বা তিন মাস পূর্ণ দিবস কাজের অনুমতি ছাত্র ভিসাতে দেয়া হয়। কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা (যেমন: কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ওয়েব পেজ ডিজাইন বা অন্যান্য) থাকলে খণ্ড কালীন ছাত্র চাকরি বা পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পেতে যথেষ্ট সহায়ক হয়।

চাকরি

চাকরির ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা এবং চাকরি পাওয়া সহজ হয়।  জার্মানিতে অবস্থিত বিভিন্ন বহু জাতিক কোম্পানি গুলোতে জার্মান ভাষা জানা জরুরি নয়।  এব্যাপারে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত কারী বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাইফুল্লাহ জানান, জার্মানি ভাষা জানা থাকলে এখানে চাকরির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের ছাত্ররা জার্মানি এবং এর শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানেনা।  এখানে টিউশন ফি ছাড়া পড়াশোনা করা যায়, উপরন্তু স্কলারশিপের সুযোগ ও প্রচুর।  আমার স্ত্রী জার্মানিতে এসে সিমেন্স কোম্পানির স্কলারশিপ অর্জন করে। এখানের সুযোগ গুলো সম্পর্কে বাংলাদেশী ছাত্রদের আরো বেশি জানা দরকার এবং মিডিয়াতে আসা দরকার।  জার্মানি সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হলো ই ইউ ভিসা (EU Visa)। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত যেকোনো একটি দেশের ভিসা থাকলে আপনি সেই ভিসা ব্যবহার করে যেতে পারবেন অন্যান্য দেশেও। এক্ষেত্রে চাকরি, গবেষণা বা ভ্রমণের জন্য ইইউভুক্ত দেশ গুলোকে এক দেশ হিসেবে ভাবতে পারেন।

এপ্লাই করার ধাপসমূহ

১।  কোর্সসার্চ : পড়ার জন্য বিভিন্ন কোর্স খোঁজার জন্যে সরাসরি আমাদের ওয়েব এ জার্মানি পেজে স্যাম্পল দেখতে পারেন ।

২।  কোর্স বাছাই : জার্মানিতে শুধু না, বাইরের যে কোনো দেশে পড়তে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া লাগে যেসব বিষয়ে আপনি পড়তে ইচ্ছুক।

৩।  ভাষা : অনেক সাবজেক্ট আছে জার্মান ভাষায়, অনেকেরই হয়তো জার্মান ভাষার কোর্স করা থাকতে পারে, তবে আমার পরামর্শ জার্মান ভাষার সাবজেক্ট গুলো আমাদের জন্য কঠিনই হবে।  কারণ টিচারের লেকচার বুঝতে হবে ভিন দেশি ভাষায়, আবার পরীক্ষার খাতায় বুঝাতে ও হবে সেই ভাষায়। উপরের লিঙ্কে সার্চ করে যেকোনো প্রোগ্রাম পেজ এ ঢুকলেই Course Language দেয়া থাকে।  যে লিঙ্কটা দেওয়া হল তাতে সব ইংরেজী ভাষার কোর্স। কারো যদি ইচ্ছা হয় জার্মান ভাষায় পড়ার তাহলে All study programmes in Germany এই লিঙ্কে গেলে জার্মান, ইংরেজী সব মাধ্যমের সাবজেক্ট এক সাথে পাওয়া যাবে।

৪।  ভর্তি সেমিস্টার এই ব্যাপারটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেয়া থাকে Winter Semester only অথবা Summer semester only ev Both semester দেয়া থাকে।  এটা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।  Beginning of program, Program duration এগুলোও লিঙ্কে দেয়া থাকে।  আর Application Deadline তো অবশ্যই দেখা উচিত। Description of Content এই জিনিস টাহাল্কা দেখে নেয়া ভালো, ভিসার ক্ষেত্রে ইন্টারভিউতে এটা অবশ্যই কাজে লাগবে (যদি বাঙ্গালী ইন্টারভি উয়ার থাকে তাহলে তো এটা জানতেই হবে) সাথে সাথে এর ঠিক নিচে Course Description (Read More) – এইটা পড়তে হবে, অন্তত পক্ষে কত ক্রেডিটের কোর্স তা জানার জন্যে।

৫।  টিউশন ফি এইটা হলো পেজের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ দেখার বিষয়।  টিউশন ফি, এন রোলমেন্ট ফি অনেক ভার্সিটিতে লাগেনা, কোথাও আবার লাগে প্রতি সেমিস্টার ৫০০-৭০০ ইউরোর মত।  তবে কিছু সাবজেক্ট, যেমন- এরো¯েপস, লাগে ২ বছরে ২০০০০ ইউরো+ ভ্যাট।  Cost of Living ৮০০ ইউরো দেয়া থাকলে ও জার্মানিতে ৫০০ ইউরো অনেক যথেষ্ট। মিউনিখের মত বড় শহর গুলোতে খরচ একটু বেশি, তবে ৫০০ রবেশি না।  খরচের একটা ব্যবচ্ছেদ জানলাম মিউনিখের একসিনিয়রের কাছ থেকে খাওয়া ৬০+ হেলথইন্সুরেন্স ৮০+ বাসাভাড়া ৩০০+ বিবিধ ৩০।  বেশি বেশি করে ধরেই বললাম এটা। অনেকের মনেই হয় তো প্রশ্ন জাগবে ট্রান্সপোর্টেশনের খরচ কই? এখানেই হলো টিউশন ফি রমজা।  টিউশন ফি অনেক ভার্সিটিতে নেয়া হয় স্টুডেন্ট ইউনিয়নের জন্যে, এরা আবার বাস-ট্রামের অথরিটির সাথে চুক্তি করে রাখে।  স্টুডেন্টদের একটা কার্ড দেয়া হয়, এটা সাথে নিয়ে চললে ট্রান্সপোর্টেশন খরচ নাই।  আবার ক্যান্টিনে ডিস্কাউন্টে খাওয়া ও যাবে এইকার্ড দেখিয়ে।  কিছু ভার্সিটি আবার কোনোটিউশন ফিনা নিয়েই এই সুবিধা গুলো দেয়।  এখানে আবার ফান্ডিং নিয়েও তথ্য দেয়া থাকে, যেমন ইন্টার্নশীপ অপর চুনিটি, স্কলারশিপ ইত্যাদি।

৬।  যোগ্যতা: IELTS, TOEFL লাগবে কিনা, কত লাগবে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এ সেকশনে। মজার ব্যাপার হলো, আমরা চার বছর ইংলিশ মিডিয়ামেই পড়ি, এই জন্যে অনেক ভার্সিটিই IELTS, TOEFL চায়না। তবে হাই র‌্যাঙ্কড ভার্সিটি গুলো চাইতে পারে, ইভেন Gre-BI।  আর সেইফ সাইডে থাকার জন্যে IELTS, TOEFL, এজঊ করা থাকলে গ্রহণ যোগ্যতা ও বাড়ে, ভিসাতে ও সুবিধা হয়।  তবে এ গুলা করার ভয়ে এপ্লাই করা থেকে বিরত থাকাটা ও বোকামি।  অনেক ভার্সিটি আবার হয়তো ইন্টারভিউ ও নিতে পারে।

৭।  এপ্লাইকরা এই সব গুলো বিষয় মন মতো হলে পেজের উপরের দিকে ডানপাশে Contact ev Submit Application to থেকে এড্ড্রেস নিয়ে এপ্লাই করা শুরু করতে হবে।  বেশির ভাগ ভার্সিটির অনলাইনে এপ্লাই করার সু্েযাগ আছে। তবে যাই হোক, হার্ড কপি অবশ্যই পাঠাতে হবে (ব্যাতিক্রমও হতে পারে)।  আরেকটা ব্যাপার, ২০ দিনের বেশি সময় হাতে থাকলে হার্ডক পিসর কারি ডাকেই পাঠানো ভালো, মাত্র ২০০ টাকার মত খরচ হয়, সময় লাগে ৭-১৫ দিন।  আর সার্টিফাইড ফটোকপি নিয়ে ও একটা কনফিউশন হয় কমনলি, কেউ বলে ট্রুক পিদিতে হবে আবার কেউ বলে নোটারাইজড কপিই এনাফ।  এটা এক টুখোঁজ খবর নিয়ে দেয়া ভালো। জার্মান এম্বাসিতে গিয়ে ফ্রি এটেস্টেড করানো যায়, তবে হাতে ৭ দিন সময় নিয়ে সেটা করাটা ভালো।  এপ্লাই করা শেষ হলে এরপর হয়তো সর্বোচ্চ ২ মাস পর্যন্ত ও ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।  সময় কাটানোর জন্যে যারা জার্মান ল্যাক্সগুয়েজ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায় কিং বা, Rosetta Stone – German Language Course সফটওয়ারটা ডাউনলোড করে ঘরে বসে জার্মান ভাষা র্প্যাকটিস করা যায়।

৮।  ভিসা ও অন্যান্য: ভার্সিটি থেকে অফার লেটার মেইলে আসার সাথে সাথে German Embassy Dhaka এখান থেকে টেলিফোন নাম্বার নিয়ে ভিসা এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ফেলতে হবে, যারা ঢাকায় থাকে তারা ফোন না করে সরাসরি এম্বাসিতে চলে যাওয়া উচিত।  অবশ্যই ৬-৭ সপ্তাহ সময় হাতে রেখে ভিসার জন্যে এপ্লাই করতে হবে।

সিমুল্ট্যনাসলি আরো একটা জিনিস করে রাখতে হবে।  সেটা হলো ব্লকড একাউন্ট।  ব্লকড একাউন্ট নিয়ে আবার অনেকের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে , এখান থেকে প্রয়োজন না হলে ১ টাকা ও তোলা লাগেনা, যদি না কেউ জার্মানিতে গিয়ে কোনো কাজ না করে মাসে মাসে এখান থেকে টাকা তুলে খাওয়ার প্লান করে।  এইটা জাস্ট একটা ভিসা ফরমালিটি। টাকা পয়সা রেডি থাকলে ব্লকড সার্টিফিকেট দিতে ১ দিন মাত্র সময় লাগে ব্যাঙ্কের।  এই ব্লকড সার্টিফিকেট আর উপরের পিডিএফ ফাইলের কথা মতো সব সার্টিফিকেট (ইনক্লুডিং Registration Card, Admit Card of S.S.C & H.S.C), ফটোকপি (২ কপি থাকলেও আসলে ৩ কপি নিতে হবে) এবং ফরম ২ কপি ফিলাপ করে প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে ভিসা ইন্টারভিউয়ের দিন এম্বাসিতে। অনেক সময় নাকি এম্বাসি এগুলো আগেই জমা নেয়।

কিভাবে বিষয় বাছাই করতে হয়?

  কিভাবে বিষয় বাছাই করতে হয়?  

প্রথমেই বলে নেই এখানে উচ্চশিক্ষা বলতে আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টাডিকে বুঝাচ্ছি বিষয় বাছাই করা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।  আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে একটি সঠিক বা ভুল সিদ্ধান্ত।  আমাদের দেশে ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতে দেখা যায় না বেশী।  একেক সময় একেক বিষয়ের প্রতি ক্রেজ ওঠে আর সবাই দল বেঁধে সেই বিষয়ে পড়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট শেষে সেই বিষয়ের কোন চাকুরী পাওয়া যাবে কিনা, ১০/১৫ বছর পর সে ধরনের চাকুরী থাকবে কিনা, বিষয়টি ছাত্রটির জন্য উপযুক্ত কিনা, ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য উপযুক্ত কিনা এসব কিছু চিন্তা না করেই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ক্রেজের উপর অভিভাবক এবং ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।  মজার ব্যপার হচ্ছে আমি নিজেও এর ব্যতিক্রম নই।  আমার লেখার ফোকাস হচ্ছে উচ্চশিক্ষা।  তাই বিষয়টাকে আমি বাংলাদেশের পারস্পেকটিভে বা আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট পার্সস্পেকটিভে আপাতত আলোচনা করব।  উচ্চশিক্ষা বলতে আমি মার্স্টাস বা পিএইচডি বুঝাচ্ছি না এখানে। কেন মানুষ উচ্চতর শিক্ষার কথা ভাবে?

১) জ্ঞান বাড়ানোর জন্য। আমার বড়জোড় ২-৩% ভাগ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।

২) ভাল বেতনের, নির্ভরযোগ্য চাকুরীর জন্য। অধিকাংশ ছাত্র এই ক্যাটাগরীতে পড়বে।  চলতি হাওয়ার সাথে তাল মেলানো একটা ভাল পদ্ধতি হতে পারে।  অর্থাৎ যে ক্রেজের নিন্দা আমি শুরুতেই করছিলাম সেটাই একটা ভাল পদ্ধতিও হতে পারে। বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের আড্ডায়, বা শিক্ষিত লোকের গল্প গুজবের সময় বিভিন্ন ফ্যাকচুয়াল ব্যাপার আলোচিত হয়।  অনেকে অনেক পত্রিকা বা ব্লগ পড়ে থাকেন সেগুলো শেয়ার করেন।  আর এভাবেই আস্তে আস্তে গুঞ্জন উঠতে পারে কোন একটা বিষয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে।  সুতরাং এই পদ্ধতিতে পাওয়া তথ্যকে অনেকাংশে নির্ভরযোগ্য মনে করা যেতে পারে।  আমি এই পদ্ধতির কয়েকটা উদাহরন দিই।  কোন একটি বিষয় পড়ার পর ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করা খুব শক্ত। যেমন ধরুন পাঁচ/দশ বছর আগেও Computer Science একটা বেশ প্রমিজিং বিষয় ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য।  তখন অনেকে এই বিষয়ে পড়াশোনা করছে।  এখন হঠাৎ করে বাজার পড়ে যাওয়ায় সেই বিষয়ের ছাত্রদের অবস্থা বেশ নাজুক। তেমনি হঠাৎ করে লক্ষ্য করা গেছে যে ইন্টেলে আর লোক নিচ্ছে না।  তো যারা এ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করছে তাদের কাছে বিষয়টা চিন্তার বইকি।  এব্যাপারে সর্বোত্তম যেটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন খবরা খবর, ফোরামে আলোচনা, ব্লগ এগুলো ঘেঁটে দেখা।  এতে করে হয়ত একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।

৩) এরপর আপনার পছন্দের বিষয়ের ব্যপার থাকে।  সমস্ত কিছু বিবেচনা করার পর আপনার মনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থা বলে মনে হচ্ছে সেটা আপনার মনপুত: হচ্ছে কিনা।  কেননা শেষ পর্যন্ত আপনাকেই ঘানি টানতে হবে।  তখন যদি আপনার সন্দেহ বা দোনোমনা থেকে থাকে সেটা মোটেই সুখকর হবে না।

৪) এই পর্যায়ে এসে পুরো প্রসেসটার একটা আউটলাইন দাঁড় করানো যাক। মেন্টর বা বন্ধু, সিনিয়র কেউ – এদের সাথে আলোচনা করে চলতি বিষয়গুলোর একটা তালিকা করুন।  জবের অবস্থা কেমন সেটা যাচাই করুন বিভিন্ন জবওয়েবসাইট ঘেঁটে।  ভবিষ্যত কিরকম হতে পারে সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করুন।  সবশেষে আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে বিষয়গুলোকে প্রয়োরিটি দিন।  চলতি বিষয়গুলোর আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন অর্থাৎ ১০০ মধ্যে প্রতিটা বিষয়ের কোনটা কত পেল সেটা ঠিক করুন।

মনে করুন,’আমেরিকাতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা করিম এর কাছে কেউ জানতে চাইল কোন বিষয়ে মার্স্টাস বা পিএইচডি করতে আসা উচিত? ‘আমেরিকাতে এখন বায়োইঞ্জিনিয়ারিং খুব ভালো চলছে’ আমি এই উত্তরটা দিল করিম।  কিন্তু করিম এর এই ধারনাটা কিভাবে তৈরী হল? করিম বলে, প্রথমত এখানে এসেই দেখলাম চোখের সামনে ঝকঝকে তকতকে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গড়ে উঠল।  বেশ কয়েকজন ইন্ডিয়ান প্রতিবেশী দেখলাম পোস্টডক করছে এই বিষয়ে এবং তারা ওয়েল পেইড।  তদুপরী বিভিন্ন আড্ডায় কিছু সাকশেস স্টোরী শুনে দৃঢ় বিশ্বাস হল যে এই বিষয়ের রমরমা অবস্থা।  এক ইলেক্ট্রিক্যালের ভাইয়া বললেন তার প্রফেসর ইলেক্ট্রিক্যাল-বায়ো বিষয়ক গবেষনার জন্য প্রস্তাব করেছিল কোন এক জাতীয় গবেষনা কেন্দ্রের কাছে সেই প্রফেসর যে পরিমান ফান্ডিং আশা করেছিল তারও দ্বিগুন পয়সা পেয়েছেন।  এই চলতি বিষয় কোনটা জেনে নেয়াটা একটা ভাল শুরু হিসেবে ধরা যেতে পারে।  সুতরাং প্রথম পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত বন্ধু বান্ধব, মেন্টর এদের সাথে আলাপ করে জেনে নিন কোন কোন বিষয়ের পালে হাওয়া লেগেছে। কাগজে একটা তালিকা করে ফেলুন।

৫) এরপরে যাচাই করে দেখুন ঐ বিষয়ের চাকুরীর বাজার কেমন।

৬) কোন একটি বিষয় পড়ার পর ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করা খুব শক্ত।  যেমন ধরুন পাঁচ/দশ বছর আগেও মাইক্রো-ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম নামে একটা বেশ প্রমিজিং বিষয় ছিল উচ্চতর শিক্ষার জন্য।  তখন অনেক রিসার্চার এই বিষয়ে সুইচ করেন।  এখন হঠাৎ করে বাজার পড়ে যাওয়ায় সেই বিষয়ের ছাত্রদের অবস্থা বেশ নাজুক।  তেমনি হঠাৎ করে লক্ষ্য করা গেছে যে ইন্টেলে আর লোক নিচ্ছে না।  তো যারা এ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করছে তাদের কাছে বিষয়টা চিন্তার বইকি এব্যাপারে সর্বোত্তম যেটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন খবরা খবর, ফোরামে আলোচনা, ব্লগ এগুলো ঘেঁটে দেখা।  এতে করে হয়ত একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। উদাহরন স্বরূপ পিএইচডিস ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো পড়ে দেখতে পারেন।

৭) এরপর আপনার পছন্দের বিষয়ের ব্যপার থাকে।  সমস্ত কিছু বিবেচনা করার পর আপনার মনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থা বলে মনে হচ্ছে সেটা আপনার মনপুত: হচ্ছে কিনা।  কেননা শেষ পর্যন্ত আপনাকেই ঘানি টানতে হবে।  তখন যদি আপনার সন্দেহ বা দোনোমনা থেকে থাকে সেটা মোটেই সুখকর হবে না।

৮) এই পর্যায়ে এসে পুরো প্রসেসটার একটা আউটলাইন দাঁড় করানো যাক।

 মেন্টর বা বন্ধু, সিনিয়র কেউ – এদের সাথে আলোচনা করে চলতি বিষয়গুলোর একটা তালিকা করুন।
 জবের অবস্থা কেমন সেটা যাচাই করুন বিভিন্ন জব ওয়েবসাইট ঘেঁটে।
 ভবিষ্যত কিরকম হতে পারে সেটা আন্দাজ করার চেষ্টা করুন।
 সবশেষে আপনার পছন্দের সাথে মিলিয়ে বিষয়গুলোকে প্রয়োরিটি দিন। অর্থাৎ ১০০ মধ্যে প্রতিটা বিষয়ের কোনটা কত পেল সেটা ঠিক করুন।

  কোর্স নির্বাচন  

একটি কোর্স নির্বাচন করার সময় বিবেচনা করা অনেক আছে, তাই আমাদের গাইড আপনাকে কি চিন্তা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।কোর্স সামগ্রী তুলনা প্রথমত, আপনার অবশ্যই অধ্যয়ন করতে চান এমন ধরনের কোর্স চয়ন করতে হবে।  আপনি যদি আপনার বিকল্প জানেন না, আপনি বিভিন্ন কোর্সের ধরন এবং এন্ট্রি প্রয়োজনীয়তা তাকান উচিত।  যদি আপনি ইতিমধ্যে অবশ্যই কোর্সের উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি অধ্যয়ন করতে চান, এখানে বিভিন্ন কোর্স এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তুলনা করার সময় বিবেচনা কিছু জিনিস আছে প্রতিটি কোর্সে আচ্ছাদিত মডিউলের দিকে তাকান এবং কোনটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়, বা আপনার কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত।  কত বক্তৃতা আছে, এবং সেমিনারে কতগুলি গ্রুপ কাজ করা হবে? প্রতিটি মডিউল শেষে মূল্যায়ন কি মত দেখায়? পরীক্ষা, পাঠ্যক্রম, উপস্থাপনা, বা তিনটি সংমিশ্রণ?

  সঠিক কোর্স বাছাই নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ  

আপনার ওয়েবসাইট বা প্রপেক্টাসটি পড়ার সাথে সাথে অনলাইন রিভিউ এবং সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি দেখে সহ একটি বিশ্ববিদ্যালয়, কনসার্ভোরেয়ার, বা কলেজের গবেষণা করতে পারেন এমন অনেক উপায় আছে, কিন্তু আদর্শভাবে আপনি ক্যাম্পাস, শহর এবং অবশ্যই নিজের জন্য লেকচারার দেখতে পাবেন।  বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো সারা বছর ধরে খোলাখুলি চালায় – আসন্ন উন্মুক্ত দিনগুলি খুঁজে একবার আপনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ আপনি আগ্রহী আগ্রহী কোর্স তালিকাভুক্ত করা হলে, প্রত্যেকের তুলনা করার সময় বিবেচনা করা অনেক কিছু আছে।

  কি বিষয় এলাকায় তারা বিশেষজ্ঞ?  

আপনি বিদেশে আপনার কোর্সের অংশ অধ্যয়ন করতে পারেন, অথবা কাজের স্থানগুলির সাথে সাহায্য পেতে পারেন? ইউ কে কলেজে অধ্যয়নরত কি তা আবিষ্কার করুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন। তাদের কি খেলাধুলার সুবিধা আছে বা আপনার সাথে যোগদান করতে চান? কিভাবে বাড়ি, একটি শহর কেন্দ্র, বা গ্রামাঞ্চল তারা কাছাকাছি? শিক্ষার্থীদের জন্য কি বাসস্থান পাওয়া যায়? আন্তর্জাতিক ছাত্র যুক্তরাজ্যে শত শত ইউনিভার্সিটি ও কলেজ রয়েছে যা বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, দেখুন, কোনটি আপনার জন্য সেরা কোর্স অফার করে।  এখানে আপনাকে সাহায্য করার জন্য কিছু শীর্ষ টিপস:

 আপনার দেশের অনেক আন্তর্জাতিক ছাত্র বা ছাত্র সেখানে পড়াশোনা করছে কিনা জিজ্ঞাসা করুন।
 বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও সাংস্কৃতিক বা সামাজিক ক্লাবে আপনি যোগদান করতে চান তা খুঁজে বের করুন।
 আপনি একটি স্থান পেতে প্রয়োজন কি দেখতে কোর্সের বর্ণনা এন্ট্রি প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
 বিষয় পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ দেখুন।
 শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পড়াশোনার সঠিক স্থান বেছে নেওয়ার পরামর্শ
বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ পাশাপাশি পরিবার, বন্ধু, শিক্ষক বা উপদেষ্টাদের সাথে আপনার মতামত এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে কথা বলার সাথে সাথে আপনি অনলাইনে অন্যান্য মতামত খুঁজে পেতে পারেন।

কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ইমিগ্রেশন প্রয়োজন এ এক্সিওম বেচে নিবেন?

এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে ৫০০০ এর ও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এবং তাদের পরিবারগুলিকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পুরুনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে।  এক্সিওম ইউ এস, কানাডা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে ভর্তি ও ভিসা সহযোগিতা ও ফ্রী পরামর্শ দিয়ে থাকে। এক্সিওম একজন শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত যোগ্যতা,আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পরামর্শ ও সেবা নিশ্চিত করে।

এক্সিওম এর সেবা অন্তর্ভুক্ত:

কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয নির্বাচন।
ভর্তি আবেদনপত্র জমাদান ও ভর্তি নিশ্চিত করণ।
স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করা।
ভিসা প্রক্রিয়ায় পরামর্শদান।
টিউশন ফি পেমেন্ট এ সহায়তা।
যাতায়ত ও আবাসন এর সাশ্রয়ী ও ঝামেলা মুক্ত ব্যাবস্থা করা।

এক্সিওম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাদান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে কাঙ্খিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ একজন পরামর্শদাতা নিযুক্ত থাকে। আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ইমিগ্রেশন প্রয়োজনে ফ্রী পরামর্শ করতে সরাসরি সাক্ষাত করুন এক্সিওম অফিস বা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য-কল করুন: ০১৬৪৬১০২১৩০-১
(সকাল ১০টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত, শনি – বৃহস্পতিবার)

কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটি ভর্তির জন্য?

ভর্তির জন্য ইউনিভার্সিটি কি চায়? আপনার কোন কোন যোগ্যতা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য? এই সব বিষয় নিচে আলোচনা করা হলো।

নিয়ম কানুন প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা কিছু নিয়ম নিয়ম কানুন থাকে।  সেগুলোর পরেও সবগুলোতে সহজ ভাষায় একটা সামঞ্জস্য আছে।  সেই সামঞ্জস্যের অংশটুকুন নিয়ে লেখা হচ্ছে।  তারপরেও যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতে চাচ্ছেন-তাদের স্পেশাল কোন নিয়মকানুন আছে কিনা সেটা তাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে অনুরোধ করবো।

বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে গেলেই কিছু ব্যাপার জানতে হবে।  বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার চেয়ে অনেক অনেক অনেক আলাদা।  প্রথমতঃ আসলে আমাদের দেশে যেমন একটা নির্দিষ্ট পরীক্ষায় ভালো করে সাথে সাথে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়া যায়- বিদেশে র পদ্ধতিটা ঠিক এমন নয়। ভর্তির জন্য কিছু পরীক্ষা দেয়া লাগে বটে-তবে সেই পরীক্ষাগুলো ভর্তির অনেক অনেকগুলো অনুষঙ্গের মধ্যে একটা অনুষঙ্গ মাত্র-আর কিছুই নয়। পরীক্ষার রেজাল্ট যতটা গুরুত্বপূর্ণ-এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি, এডমিশন এসে, লেটার অব রেকমেন্ডেশন ইত্যাদি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডায় অনার্স কোর্স করতে যেতে চান, তবে SAT অথবা ACT পরীক্ষার পর আপনার পছন্দের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তিফরম সংগ্রহসহ যাবতীয় নিয়ম জেনে নিন। আর আপনি যদি গবেষণার কোনো বিষয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাহলে যার অধীনে আপনি গবেষণা করতে আগ্রহী, তাকে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, থিসিস দিয়ে মোটিভেশান চালান।  স্টেটমেন্ট অব মোটিভেশান সিভি পাঠান।

এপ্লিকেশনের এসে
১) TOEFL এবং IELTS
২) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
৩) এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস
৪) লেটার অব রেকমেন্ডেশন

এপ্লিকেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কমন এপ্লিকেশনের এসে বা রচনা।  এই বিষয়টাও একটু বুঝিয়ে বলার জন্য ব্যাখ্যা হিসাবে লিখছি –
এডমিশন এসে অনেকের মতে এডমিশন এসে বা রচনাটাই ভর্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে ভাইটাল অংশগুলোর মাঝে একটা।  এই এসে দিয়ে একজন এডমিশন অফিসার শিক্ষার্থীকে চিনতে পারবে-জানতে পারবে।  এসের টপিক থাকে এবং সেই টপিকে মোটামুটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তোমার এবং তোমার প্যাশনের সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হয়।  এই এসেটা একটু ধীরেসুস্থে-বুঝে শুনে লিখতে হবে। এই এসেটা এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে সবার থেকে আলাদা করে তোমার লেখাটা ফুটে ওঠে।  এসে লেখার তেমন কোন নিয়মকানুন নেই তবে একটা ইনফরমাল আপন-আপন আবহাওয়া আছে যেটা আমাদের অতিফরমাল এসএসসির ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ মার্কা রচনার অনেকটাই বিপরীত। কাজেই এই ভাবধারাটা বোঝার জন্য কিছু স্যাম্পল এসে পড়া যেতে পারে। গুগলে সার্চ দিলেই অনেক স্যাম্পল এডমিশন এসে পাওয়া যাবে। কেউ যদি চায় তাহলে Application Guide  এই সেকশনের স্যাম্পল এসে গুলোও দেখতে পারে। স্যাম্পল এসে ছাড়াও এখানে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় আর প্রয়োজনে অনেক প্রশ্ন পোস্টও করা যায়। কাজেই ভর্তিচ্ছু সকলকে বলবো গ্রুপটা একবার ঘুরে দেখতে।

   SAT এবং SAT Subject Tests

এডমিশনের এই অংশটাকে নিয়ে অনেকে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন কারণ এই পরীক্ষাত ব্যাপারটি আমাদের মোটামুটি পরিচিত।  আর এই পরীক্ষাটি একক নির্ধারণী বিষয় না হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।  তাই এই বিষয়ে জানাও দরকার। প্রথমে বলি SAT এর কথা। এটা একটা বেসিক পরীক্ষা।  আপনি যে বিষয়েই পড়তে চান না কেন-আপনাকে এই পরীক্ষাটি দিতে হবে। পরীক্ষাটি ২৪০০ মার্কে হয়-চার ঘন্টার পরীক্ষা।নেয়া হয় তিনটি অংশে-

১) ম্যাথ
২) ক্রিটিকাল রিডিং আর
৩) রাইটিং।
তিনটাতে আটশ করে মোট চব্বিশ শো।

১) ম্যাথ অংশটা বেশ সোজা। মোটামুটি মাথা ঠান্ডা রাখলে ক্লাস টেনের একটা ছেলেরও ম্যাথগুলো ভুল করার কোন কারণ নেই। তবে সমস্যাটা হলো-কম সময়ে অনেক বেশি অংক করতে হয়।  কাজেই এই সময়ের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিকঠাক অংক করতে পারাটা একটা প্রাকটিসের ব্যাপার। রাইটিং অংশ মূলত গ্রামারভিত্তিক।  এরর আইডেন্টিফিকেশন-রিরাইটিং এর মতন বিষয়গুলো থাকে।  তবে এই গ্রামারটুকুন আমাদের চিরপরিচিত ব্রিটিশ গ্রামার থেকে একটু ভিন্ন ধাঁচের। একটু বেশি কনভারসেশনাল।  তবে মোটামুটি একটু পড়াশোনা আর কারো সামান্য গাইডেন্স পেলে ব্যাপারটা বেশি একটা কঠিন নয়। সাথে অবশ্য একটা এসেও লিখতে হয়।  কেউ যদি এডমিশন এসে নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে তাহলে এই এসেতেও খুব একটা সমস্যা হবেনা-তবু বইয়ের কিছু মডেল দেখা যেতে পারে।

২) রিডিং অংশটা একটু ক্রিটিকাল বলেই নাম ক্রিটিক্যাল রিডিং।  আনসিন পেসেজ থাকে-সেগুলোর থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।  এইখানে কিছু টিপস-ট্রিকসের ব্যাপার আছে। বই আর কারো সাহায্য নিলে সহজেই পারা যেতে পারে। সাথে যে ঝামেলার জিনিসটা আছে সেটা হল সেনটেন্স কমপ্লিশন।  এইখানে প্রচুর ভোকাবুলারির জ্ঞান লাগে আর বেশ কিছু শব্দ মুখস্ত করতে হয়।  তাই বলে ডিকশনারি নিয়ে বসে যেতে হবে এমন নয়।  শব্দ শেখারও কিছু কায়দা আছে।

এইসব কায়দা-নিয়মকানুন-টিপস ট্রিকস খুব সুন্দর করে লেখা আছে Princeton Review এর Cracking the SAT বইটাতে।  এছাড়া Barrons এর SAT বইটাও বেশ ভালো।  তবে প্রাকটিস টেস্টের জন্য Collegeboard এর নীল রঙের SAT বইটি ব্যবহার করা নিরাপদ।  এই বইগুলোর দাম খুব বেশি না। নীলক্ষেতে আর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় সহজেই পাওয়া যেতে পারে।তেমন সমস্যা নেই।  কেউ প্লিজ মনে করবেন না যে পরিক্ষাটি খুব কঠিন-কারণ এটা খুব একটা কঠিন নয়।  শুধু দরকার একটু পরিশ্রম আর গাইডেন্স কাজেই ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাবড়ানোর কিছুই নেই।  কেউ যদি SAT এর জন্য কোচিং করতে চান তাহলে এক্সিওম এ যোগাযোগ করতে পারেন।

তবে কোচিং ছাড়া পরীক্ষাটা দিয়ে ফেলা অসম্ভব কিছু না আর আমি সাহসী শিক্ষার্থীদের সেটা করতেই অনুপ্রাণিত করবো। সবচেয়ে ভাল হয় যদি প্রাইভেট কোন টিউটর খুঁজে পান-কারণ সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট সমস্যা-বিশেষ করে এসের ব্যাপারে খুব ভালো নজরদারি পেরে পারেন।  আমি সবকিছু খোলাখুলি জানিয়ে রাখছি বলে কারো কাছে মনে হলে দুঃখিত-আমি আসলে অন্যদের মতন ঘোলাটে করে একটা ব্যাখা লিখতে চাইনি।  যেমন ঘটনা তেমন করে লিখে দিলাম।  এখন আপনারা বুঝে নিন।

SAT Subject Test হলো মূলত নির্দিষ্ট সাবজেক্টের উপর একেকটা পরীক্ষা।  এই পরীক্ষাটি না দিলেও চলে তবে বিশেষত বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে পড়তে চায় এমন মানুষদের এই পরীক্ষাটি দেয়া উচিত। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য আবার এটাকে অনিবার্য বলেও ঘোষণা দেয়।Mathematics,Physics,Chemistry,Biology বিভিন্ন বিষয়ে Subject Test দেয়া যায়।  কে কোন কোন সাবজেক্ট টেস্ট দেবে এটা তার সাবজেক্ট চয়েসের ওপর নির্ভর করে। আমার এক বন্ধু গণিতে অনার্স করতে চায়-সে Mathematics আর Physics এর Subject Test দিয়েছে।  এই সাবজেক্ট টেস্টগুলোর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও এমনি SAT এর মতন।  এগুলোর জন্যেও Barrons এর বই পাওয়া যায়। সিলেবাসগুলো আমাদের ইন্টারের সিলেবাসের মতই আর প্রশ্ন বেশ একটা কঠিন নয়। Barrons থেকে কিছু প্রাকটিস করলেই পারা যেতে পারে।

IELTS একটা অপরিহার্য পরীক্ষা।  অনেকে আবার IELTS এর বদলে TOEFL ও দেয়-কিন্তু ও IELTS সহজতর আর অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য। মূলত এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর রেজাল্ট নির্ভর করেনা। এইটা একটা ইংরেজিতে কমিউনিকেট করতে পারার প্রমাণ।  অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর জন্য একটা পাসিং মার্জিন দেয় (সাধারণত ৬) তার বেশি পেলেই তারা ইংরেজিতে পারদর্শী ধরে নেয়। IELTS এর জন্যে AGI কোচিং করায়। রাস্তায় হাটলেই হাজার বিজ্ঞাপন দেখা যায়। তবে যে SAT দিয়েছে তার কাছে IELTS পানিভাত।

৩।  একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট হিসেবে এসএসসির সনদ, ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালের রেজাল্ট আর সেকেন্ড ইয়ারের টেস্টের রেজাল্ট জমা দিতে হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই-এইগুলা খুব একটা অতিজরুরি না।  কিন্তু প্রথম সারির ছাত্ররা স্কলারশীপের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রাধিকার পায়। এই ট্রান্সক্রিপ্টগুলো একাডেমিক কাউন্সিলরের মারফত পাঠাতে হবে। নিজের মতন করে কাউন্সিলরকেও একটা কমন এপ একাউন্ট খুলে দিতে হবে আর সেইখানে এই ডকুমেন্টগুলো পিডিএফ আকারে আপলোড দিতে হবে।

৪।  এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি
এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটি ওদের কাছে বড় একটা বিবেচনার বিষয়। এই জিনিসটা এডমিশনের কাজে অনেক সাহায্য করে। মূলত কারো যদি কোন চ্যারিটি-সোশ্যাল ওয়ার্ক বা আন্তর্জাতিক সনদ থাকে, তাহলে সেটাকে ওরা বিশেষ মূল্যায়ন করে। তবে কারো যদি মনে হয় তার এরপর কোন এচিভমেন্ট নেই-তাহলে খুব ভয় পাবার কিছু নেই কারণ অনেকেই আছে যাদের এমন কোন রেকর্ড নেই কিন্তু অন্য অনুষঙ্গগুলো এতটাই পাকপোক্ত যে অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।

৫।  লেটার অব রেকমেন্ডেশন
লাস্ট বাড় নট দ্য লিস্ট-লেটার অব রেকমেন্ডেশন! এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। মূলত গাইডেন্স কাউন্সিলর সহ আরো দুইজন টিচারের কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে সেটা সাবমিট করতে হয়। এক্সিওম এর মাধ্যমে বা মেইল করে সেগুল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো যায়। তবে কোনভাবেই এই চিঠিগুলো যাতে ম্যাড়মেড়ে চারিত্রিক সনদের মতন না হয়।  পত্রটা পড়ে মনে হতে হবে যে পত্রকার শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে এবং ব্যক্তিগতভাবে তার গুণাবলি তুলে ধরে তাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা যোগ্য চয়েস হিসেবে ব্যাখ্যা করবে।  এই পত্রটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি শিক্ষক আর ছাত্র মিলেঝুলে ঠিক করে যে কি কি লেখা যায়।

ভর্তির জন্য আপনার যে সমস্ত যোগ্যতা দেখবে সেগুলো একটা তালিকা আকারে দেয়া যাক প্রথমে:

১।  আপনার ইংরেজীতে কমিউনিকেশনের ক্ষমতা
২।  আপনার বুদ্ধিমত্তা – গানিতিক, যৌক্তিক, (ইংরেজী) ভাষাগত দক্ষতা
৩।  নিজেকে প্রকাশ করবার বা বিক্রি করবার ক্ষমতা
৪।  শিক্ষা এবং কাজের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা
৫।  আপনার শিক্ষা এবং তার মান
৬।  কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিভার্সিটি আপনার টিউশন ফি দেবার মত অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আছে কিনা সেটাও দেখে থাকে

ভাষাগত দক্ষতা

আপনার ইংরেজী কমিউনিকেশনের যোগ্যতা পরিমাপের পদ্ধতির জন্য ইউনিভার্সিটিগুলো নির্ভর করে IELTS টোফেলের উপর। টোফেল একটি পরীক্ষা যেখানে আপনার ইংরেজী শোনা (কতগুলো কথা হেডফোনের মাধ্যমে শুনে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে), ইংরেজী পড়া (কতগুলো প্রশ্ন পড়ে উত্তর করতে হবে), ইংরেজী লেখা (দুটো রচনা লিখতে হবে) এইসব যাচাই করা হয়।

বুদ্ধিমত্তার যাচাই – গানিতিক, যৌক্তিক (ইংরেজী) বুদ্ধিমত্তার যাচাই করবার জন্য ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে থাকে জিএরই নামের টেস্টের উপর।  এতে তিনটি সেকশন থাকে –

 গানিতিক সমস্যা সম্বলিত সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
ইংরেজী ভাষার দখল স¤র্পকিত একটি সেকশন (মোট নাম্বার ৮০০),
আর যুক্তিভিত্তিক রচনা লেখবার সেকশন (মোট নাম্বার ৬০০)
মোট কত নম্বর পেতে হবে সে ব্যাপারে সাধারনত ধরা বাঁধা নিয়ম থাকেনা। তবু ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ ঘেঁটে দেখতে ভুলবেন না। বিস্তারিত জানতে: Click Now

অনেক সময় বিষয় ভিত্তিক জিআরই বা কর্মাসের পড়ার জন্য জিম্যাট পরীক্ষা চাইতে পারে কোন কোন ইউনিভার্সিটি। এ ব্যাপারে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে পারেন।

স্টেটমেন্ট অফ পারপাস

নিজেকে কতটা তুলে ধরতে পারেন অন্যের কাছে বা নিজেকে কিভাবে বিক্রি করতে পারেন সেটা যাচাই করা হয় আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা ইনটেন্ট নামের একটা রচনার মাধ্যমে।  এখানে আপনাকে এক বা দু পৃষ্টার মধ্যে কি কারনে আপনি এই বিষয়ে পড়া শুরু করেছিলেন, কি কারনে আপনি উচ্চতর শিক্ষা নিবেন, নেবার পরে কি করবেন এই সব বিষয় নিয়ে লিখতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে Statement of Purpose Click করুন।

রেকমেন্ডেশন লেটার

শিক্ষা বা আপনার কাজের যোগ্যতার ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি গুলো নির্ভর করে রেকমেন্ডেশন লেটারের উপর। আপনার প্রাক্তন ইউনিভার্সিটি বা কাজের যায়গায় আপনার যে বস ছিল তার চোখে আপনি কেমন মানুষ সেটাই জানাতে হয় এখানে। মোট তিনটা রেকমেন্ডশন লাগে অনেক জায়গায়। নিদির্ষ্ট ফরমও থাকে এর জন্য। আপনাকে এই ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিয়ে কারও কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।  এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখতে পারেন।

আপনার পূর্বের বিভিন্ন পরীক্ষার সার্টিফিকেট তাতে প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি এসবের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয় আপনার শিক্ষাগত যোগত্যা কতটা।  এব্যাপার গুলো সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত বলে তেমন কিছু করা থাকেনা। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা জানার জন্য ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাঙ্ক ব্যালেনস প্রদর্শন পূর্বক বিভিন্ন ডকুমেন্ট পাঠাতে হয়।

এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে।  সেক্ষেত্রে আপনাকে ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করতে মূলত এই ব্যাপার গুলিই টেক কেয়ার করতে হয়।

ফান্ডিং কিভাবে জোগাড় করতে হয়?

  ফান্ডিং কিভাবে জোগাড় করতে হয়?  

বিদেশে পড়তে চাইলে একটা টেনশন থাকে সেটা হলো টিউশন পে করা যাবে কিভাবে?

বাইরে এ ব্যাপারে সুযোগের অভাব নেই। ইউনিভার্সিটিগুলোতে টিচিং , রিসার্চ, গ্রাজুয়েট এসিসটেন্টশীপ মেলা তেমন দুষ্কর নয়। তার উপর আছে ঘন্টাচুক্তিতে চাকুরী, বাইরে বিভিন্ন দোকানে চাকুরী। আর প্রোগ্রামীং বা ওয়েব ডেভলপমেন্টের কাজ জানা থাকলে তো ‘লারে লা পা পা’। টিচিং এসিসটেন্টদেরকে বিভিন্ন কোর্সের খাতা দেখা, ছাত্রদের সাহায্য করার কাজ করতে হয়। রিসার্চ এসিসটেন্টদেরকে কোন প্রফেসরের আওতায় কোন গবেষনা সাহায্য করতে হয়। এই দুইধরনের কাজে ইউনিভার্সিটি থেকে টিউশন পুরোটা দিয়ে দেয়, আর থাকা খাওয়ার জন্য মাসে বারশ থেকে পনেরশ ডলার বেতন। তবে বিভিন্ন দোকানে চাকুরীটা সত্যিই খুব কষ্টকর এবং আমাদের বাঙ্গালী মানসিকতার উপর বড় ধকল।

আরেকটা ব্যাপার হলো আন্ডারর্গ্যাজুয়েট পড়তে আসলে কিন্তু এইসব চাকুরী মেলা প্রায় অসম্ভব। তাই এক্ষেত্রে বেশীরভাগকে বাইরে ঘন্টা চুক্তির কাজ করতে হয়। কিন্তু মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আসলে এসব ফান্ডিং পাওয়া বেশ সহজ হয়ে যায়। তাই যত বড় ডিগ্রীতে এনরোল করবেন তত সুযোগ বেশী। গবেষনা, বা সাধারন পড়াশোনা এত বাস্তব কাজের সাথে স¤পৃক্ত যে চাকুরীর ক্ষেত্রে কোন অসুবিধাই হয়না। যে সমস্ত বিষয়ের বাস্তব এপ্লিকেশন নেই সেসব জিনিস এরা সিলেবাস থেকে কবেই বের করে দিয়েছে! এব্যাপারে একজন প্রফেসরের একটা কথা মনে পড়ল। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা এখানে শিক্ষা প্রদান করি না, শিক্ষা বিক্রী করি। তাই যারা শিক্ষা কিনছে তারা যেন না ঠকে সেটা আমাদের দেখতে হয়।

বিদেশে ছাত্র- ছাত্রীরা [মার্স্টাস বা পিএইচডি ] মূলত চারভাবে টিউশন এবং থাকা খাওয়ার খরচ জোগাড় করে থাকে।

১। টিচিং এসিসট্যান্টশীপ।
২। রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ।
৩। ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টাভিত্তিক কাজ।
৪। ইউনিভার্সিটির বাইরে ঘন্টাভিত্তিক কাজ।

প্রতিটি পদ্ধতির ভাল-মন্দ দিক আর কিভাবে যোগাড় করতে হয় সেটা আলোচনা করব এবারে।

  টিচিং এসিসট্যান্টশীপ  

টিচিং এসিসট্যান্টশীপ ব্যাপারটা নির্ভর করে আপনি যে বিষয়ে পড়তে যাবেন সেটার বিভাগীয় প্রধান এবং ভর্তি নির্বাচকের উপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটাকে ব্যবহার করে ভাল ছাত্র যোগাড় করার টোপ হিসেবে। ধরেন আইআইটির কোন ছেলে একটা মধ্যম ধরনের ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করেছে। সেই ইউনিভার্সিটি তখন তাকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে লোভনীয় অফার পাঠাবে। যাতে সে এখানে পড়তে আসে। তাই এখাতে প্রথমেই আর্থিক সাহায্য আশা করে লাভ নেই। তবে প্রথম সেমিষ্টারে ভালো রেজালট করলে তখন টিচিং এসিসট্যান্ট হিসেবে কিছু আশা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কোন প্রফেসরের নেক নজরে থাকলেও অনেক কাজ হয়। কিভাবে এই নেক নজর লাভ করা যায় সেটা পরে আলোচনা করব।

টিচিং এসিসট্যান্ট হিসেবে যে কাজগুলো করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো খাতা দেখা। বিভিন্ন কোসে আন্ডারর্গ্যাজুয়েট ছাত্রদের হোমওর্য়া দেয়া হয়। সেগুলোর খাতাগুলো দেখে দিতে হয়। এছাড়া মাঝে মাঝে প্রফেসরের অনুপস্থিতে ক্লাস নিতে হতে পারে, তাই সাধারনত টিএসই (টেস্ট অফ ¯েপাকেন ইংলিশ) নামের একটা পরীক্ষা দিতে হয় অনেক সময়। তাছাড়া ল্যাব ভিত্তিক কোর্সের টি এ হলে ল্যাবে সাহায্য করতে হতে পারে অনেক সময়।

  রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ  

রিসার্চ এসিসট্যান্টদের কাজ প্রফেসরদের বিভিন্ন গবেষনায় সাহায্য করা। সেইসাথে যে বিষয়ের উপর গবেষনা করছে সেটা তার নিজের গবেষনা পত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তাই কাজটা মন্দ নয়। তবে রিসার্চের ব্যাপারটাই খটোমটো। উপরন্তু প্রফেসরদের আচার আচরনের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেকের জন্য তাই এই কাজটা অতটা পছন্দের নয়।তবে রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ নির্ভর করে স¤পূর্ণ একজন প্রফেসরের উপর। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করবার প্রপোজাল বা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে সে গবেষনা গ্রহন যোগ্য মনে হলে তারা সেই প্রফেসরকে কিছু অর্থ যোগান দেন। সেই অর্থ থেকে কিছু ছাত্রকে রিসার্চ এসিসট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তাই সেই সমস্ত ছাত্রদেরও সবসময় দৌড়ের উপর থাকতে হয়।

রিসার্চ এসিসট্যান্টশীপ পাওয়ার মূল ব্যাপার তাই হচ্ছে কোন প্রফেসরের নেক নজরে থাকা। কিভাবে এই নেকনজরে আসা সম্ভব? প্রথমত ভর্তির আগে থেকেই এব্যাপারে চেষ্টা শুরু করতে হবে। উদাহরন স্বরূপ একটি বিষয় বেছে নিই: মনে করুন আপনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান। তবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রোবোটিক্স বিষয়ে আপনার সবচেয়ে আগ্রহ বেশী। সুতরাং আপনার কাঙ্খিত ইউনিভার্সিটিতে যে প্রফেসর এ বিষয়ে কাজ করছে তাকে খুঁজে বার করলেন ইউনিভার্সিটির ওয়েব পেইজ থেকে। তারপর তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি তার বর্তমান রির্সাচ গুলো ঘাঁটাঘাটি করলেন। তারপর তাকে ইমেইল করুন তার রিসার্চের ব্যাপার জানতে চেয়ে। এব্যাপারে সাবধান – প্রথম ইমেইলে তাকে কোনভাবেই ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার মূল লক্ষ্যা থাকবে রিসার্চের ব্যাপারে আলোচনা করা।

এভাবে প্রাথমিক যোগাযোগ শেষ হলে পরে সুযোগ খুঁজুন আপনার ব্যাপার জানানোর জন্য। অনেকে মুখের উপর না করে দিবে। কিন্তু আপনার কাছে দরকার মনে হলে পরে লেগে থাকতে ভুলবেন না। লেগে থাকা মানে রিসার্চের ব্যাপারে কাজ করে যাওয়া বিশ্বাস স্থাপন করা এসব। অনেক সময় দেশে থেকেই ফোন করে আলাপ করুন। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে যদি ক্লাস শুরু করে ফেলেন (অবশ্যই প্রথম সেমিস্টারের টাকা পরিশোধ করে) তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তার সাথে সেমস্ত ছাত্ররা কাজ করছে তাদের সাথে কথা বলুন। অন্যান্য ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করুন। মনে রাখবেন যোগাযোগ এই ক্ষেত্রে খুবই ইফেক্টিভ।

  ঘন্টা ভিত্তিক কাজ  

ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ খুব সুলভ না হলেও মোটামুটি পেতে খুব সমস্যা হয় না। লাইব্রেরীতে বই আদান-প্রদানের কাজ, বিভিন্ন অফিসে টুকটাক সহায়ক কারীর কাজ এধরনের বিভিন্ন কাজ করতে হতে পারে এক্ষেত্রে।
সমস্যা এখানে দুটো:

১। থাকা-খাওয়ার খরচটা উঠে আসলেও টিউশনটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে।
২। ঘন্টা চুক্তিতে কাজ বলে ঘড়ি ধরে আপনাকে বসে থাকতে হবে অফিসে। তবে কাজ চলে যায় এরকম একটা কাজ পেলেও।

ঘন্টা ভিত্তিক ইউনিভার্সিটির কাজ গুলো অনেক সময় ইউনিভার্সিটির ওয়েবাসইটে পাওয়া যায়, অনেক সময় বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে জানা যায়, আবার অনেক সময় প্রফেসররাও জানাতে পারে। তবে এক্ষেত্রে প্রোগ্রামীং বা ওয়েব ডেভলপমেন্ট জানা থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে আসল পেইন হল বাইরে কাজ করতে যাওয়া। এই কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন পেট্রল পা¤পগুলোতে কাজ করা, বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করা। এই বাইরের কাজ নিয়ম বর্হিভুত হওয়ায় খুব অল্প দরে কাজ করতে হয়। আর রক্তচোষা মালিক ছিবড়ে ফেলে একবারে। তবুও নিতান্তই দরকার পড়লে এধরনের কাজ পেতে দেশী লোকদের নেটওর্য়াক ব্যবহার করতে পারেন।

SCHOLARSHIP and Funding আরো বেশি জানতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন-

AGI IELTS Preparation Courses

AGI (Axiom Global Institute) offers a variety of IELTS exam preparation courses for both long and short-term students. We do conduct individual training sessions for every IELTS aspirants. The course also includes study skills and IELTS examination practice.

The course is suitable for students needing Academic IELTS or General IELTS.

Students are advised to Give us a call or come to our Institute – Avail a full one-on-one guidance about all 4 modules of IELTS with tips to score the best in Exam. AGI’s experienced and qualified teacher will help prepare you for your chosen exam and plan the course so you will achieve the best possible result in the shortest time. Course times are flexible and can be agreed with the individual student.

IN OUR COURSES YOU WILL LEARN:
*************************************************
# Reliable techniques that will maximize your score
# How to avoid the mistakes that can cost your marks
# How the READING & LISTENING test are marked
# How the examiners assess your Writing & Speaking performance

OUR COURSES WILL ALSO TEACH YOU HOW TO:

# Write an effective response for WRITING Task-1 & 2
# Deal with different question types in the READING test
# Gather informations & answer different question types in the LISTENING test
# Respond appropriately to various question types in the SPEAKING TEST

IELTS PREPARATION SPECIAL
WHO CAN JOIN?
# You need personalised support with your writing or speaking.
# You have some time before your test
# You want to know the best tips and hints, as well as the best procedures for getting a good result
# You have taken IELTS before but haven’t quite reached the band score you need
# You are aiming for Band 7.0 or higher
# You want access to the full range of complete IELTS practice tests
# You have a busy schedule and want longer access to the complete course

This course has all the necessary elements of IELTS especially designed for those students who wants to work hard to achieve IELTS band score 6.5 or above. There are students who want to go abroad and need at least IELTS band score 6.5 or above. This course will greatly help the students to reach their target band score in IELTS.
FREE DOWNLOAD OUR IELTS COURSE BROCHURE

https://goo.gl/fw7ncy

*** AT THE END OF THIS COURSE, STUDENTS SHOULD BE ABLE TO:
• Identifying and describing information from graphs and diagrams
• Organising ideas, developing vocabulary and structuring short essays
• Advanced grammar
• Test specific listening and reading skills
• Developing fluency and pronunciation skills for the speaking test
• Test strategies including time management
• Test practice and specific feedback to improve your scores

AT THE END OF THIS COURSE, STUDENTS SHOULD BE ABLE TO:

CONTENT ARE AS INCLUDES:
• Develop IELTS-specific listening strategies
• Identify the question types that accompany the reading passages
• Understand the steps and processes of writing high quality IELTS Writing task responses.
• Respond fluently and accurately using correct pronunciation and range of vocabulary in the oral interview.

Open chat
Hello 👋
Can we help you?