Author - Axiom

study abroad malaysia 2025

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষায় খরচ ও সুযোগ-সুবিধা কেমন?

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা, যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও খরচসহ বিস্তারিত জানা যাবে এ প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি লিখছেন বি এম নাজির হোসেন সোহেল, সি ই ও, এক্সিওম এডুকেশন এন্ড ইমিগ্রেশন, মালয়েশিয়া ই এম জি এস অনুমোদিত এডুকেশন কনসালট্যান্ট।

মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ ওপরের দিক আছে। আধুনিক, প্রগতিশীল ও বহুসংস্কৃতির গতিশীল জীবনধারার দেশটি এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে। বর্তমানে ১৪০টিরও বেশি দেশের শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেছে। মালয়েশিয়ায় বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থার ভেতর নিহিত আছে কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার অর্জনের প্রক্রিয়া ও উন্নত জীবনের হাতছানি। রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরকে শিক্ষার্থীরা সাশ্রয়ী শহরের তালিকায় সারাবিশ্ব দ্বিতীয় অবস্থানে রাখেন।

কেন মালয়েশিয়া মধ্যবিত্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ!

বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ ও নিশ্চয়তা নেই। যে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে সেখানে সবার এ্যাডমিশন নেয়ার সুযোগ নেই।

তাই অনেক মধ্যবিত্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবছে, কিন্তু বছরে ২০-২৫ লক্ষ টাকা টিউশন ফি, আবার ভিসার জন্য ৫০-৬০ লক্ষ টাকা ব্যাংক স্পন্সর, এই ই এল টি এস সহ নানা প্রতিবন্দকতা, এসবের পরও ভিসার অনিশ্চয়তা, কিন্তু অল্প টিউশন ফিতে, এই ই এল টি এস ও স্পন্সর ছাড়া ১০০% ভিসার নিশ্চয়তা সহ মালয়েশিয়াই হতে পারে তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার সেরা অপশন।

এছাড়া ও মালয়েশিয়া থেকে সহজেই আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সহজে ক্রেডিট ট্র্যান্সফার করার সুযোগ রয়েছে।

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা:

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুরসংখ্যক প্রোগ্রাম অফার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় এই প্রোগ্রামগুলোয় ভর্তির যোগ্যতা। তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সাধারণ যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হয়, তা হলো—
● প্রি-ইউনিভার্সিটি ও ডিপ্লোমার জন্য কমপক্ষেএসএসসি / ও-লেভেল।
● ব্যাচেলর বা স্নাতকের জন্য কমপক্ষে এ-লেভেল/ এইচএসসি (সিজিপিএ ন্যূনতম ৩.৫)।
● মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তরের জন্য সিজিপিএ–৪–এর মধ্যে ন্যূনতম ২.৫ সহ একটি স্নাতক বা ব্যাচেলর ডিগ্রি (আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ (প্রোগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নির্ভর করে)

মালয়েশিয়ায় কি নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে:

ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস, আইটি, মেডিসিন, ডিজাইন, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, নার্সিংসহ প্রায় ৩০০টির বেশি বিষয়ে ফাউন্ডেশন, ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পি এইচ ডি করার সুযোগ। এ ছাড়াও আমেরিকা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ব বিদ্যালয় ডিগ্রী সরাসরি অনেক কম খরচে করার সুযোগ। এ ক্ষেত্রে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম (AUP) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়।

মালয়েশিয়ায় পড়াশোনার খরচ:

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ভিত্তিতে সাড়ে তিন থেকে চার বছরের স্নাতক অধ্যয়নে খরচ পড়তে পারে ৯ হাজার ৬০০ থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত। ১ রিংগিত সমান ৩০ টাকা। আর এক থেকে দুই বছরের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে খরচ হতে পারে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার ৭০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত।

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদনপদ্ধতি:

মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অধ্যয়নের জন্য আবেদন শুরুতেই যে কাজটি করতে হয়, তা হচ্ছে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পছন্দের বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন করা। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত দুই সময়ে আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে—* প্রতিবছরের জুন মাসে আবেদন শুরু হয়। এ আবেদনের সময়সীমা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।* নভেম্বরে, এ আবেদনের সময়সীমা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।প্রথমেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো প্রস্তুত করতে হয়। এগুলো সাধারণত একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম হয়। তার মধ্যে একদম মৌলিক কতগুলো নথিপত্রের একটি তালিকা উল্লেখ করা হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

পূরণকৃত আবেদনপত্র।
সকল সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট।
ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ও ৩৫/৪৫ মিলিমিটার)।
পাসপোর্ট ( নূন্যতম ১৮ মাস মেয়াদ)।
আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন:

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আগে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী ইএমজিএসের (এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিস) মাধ্যমে অনলাইনে ভিসার আবেদন করতে হয়। এটি সাধারনত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজই আবেদন করে থাকে। (ইএমজিএস হলো মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অংশ, যা মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইএমজিএস মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদানে ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করে।)

আবেদনকারীকে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করতে হয়, যেটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রামের ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ থেকে ১৪ কার্যদিবস পর ভিসা অনুমোদনপত্র প্রদান করা হয়। প্রক্রিয়াধীন সময়টিতে শিক্ষার্থীরা আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাটিও অনলাইনে জেনে নিতে পারেন। তবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ই-ভিসার প্রয়োজন হবে। শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই অনলাইনে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, যা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যায়।

মালয়েশিয়ায় পৌঁছার পর করণীয়:

মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর প্রথম মাসেই কিছু কাজ জরুরিভাবে করে নিতে হবে। প্রথম সাত দিনের মধ্যে যেকোনো ইএমজিএস- নিবন্ধিত ক্লিনিকে মেডিকেল স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। আবাসনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষাগত নথিগুলো সঠিকভাবে রয়েছে, তা নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইএমজিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্টুডেন্ট পাস (পাসপোর্টে স্টিকার) এবং আই-ক্যাড (বিদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র) সংগ্রহ করে নিতে হবে। স্টুডেন্ট পাস মূলত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসপোর্টে একটি স্টিকার সংযুক্ত করে দেবে। আর আই-ক্যাড হলো মালয়েশিয়ার বহিরাগত শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে তাদের মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধতা নিশ্চিত হয়।

মালয়েশিয়ায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা:

প্রত্যেক মানুষের খরচগুলো মূলত তার ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় স্থানীয় গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে তিনি কতটুকু মানিয়ে চলতে পারছেন। মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, মেডিকেল, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট; সব মিলিয়ে প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ রিংগিত খরচ হতে পারে।

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের সুবিধা:

মালয়েশিয়ার বাইরের থাকা আসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ পুষিয়ে নেওয়া জন্য আছে ঋণ, টিউশন ফি মওকুফ, শিক্ষা তহবিলসহ নানা অনুদানের ব্যবস্থা । জনপ্রিয় স্কলারশিপগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া সরকারি স্কলারশিপ, মালয়েশিয়া কমনওয়েলথ স্কলারশিপ, ফেলোশিপ প্ল্যান এবং মালয়েশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অন্যতম। তা ছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বৃত্তি, অনুদান ও টিউশন মওকুফের কার্যক্রম চালু আছে।

ড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ:

মালয়েশিয়ার বিদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের প্রথম ধাপ হলো প্রথমেই একটি চাকরির ব্যবস্থা করা। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্মচারীর পক্ষ থেকে তার ওয়ার্ক পারমিটের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এটি ইমপ্লয়মেন্ট পাস নামেও পরিচিত, যার মেয়াদ থাকে সর্বনিম্ন ২ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর। এ ছাড়া ওয়ার্ক পারমিটের আবেদনের সময় পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১৮ মাস থাকা বাঞ্ছনীয়।

মালয়েশিয়ায় পড়ালেখার জন্য ফ্রী পরামর্শ ও ভর্তি, ভিসার আবেদন করতে এক্সিওম এডুকেশন এন্ড ইমমিগ্রেশন এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এক্সিওম মালয়েশিয়ার ৫৬ টিরও অধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে ২০০৩ সাল থেকে, ২০০০ এর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ফ্রী মালয়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরনে সহায়তা করেছে। এক্সিওম ,আনাম র‍্যাংগস প্লাজা, সাত মসজিদ রোড: ৬/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা। যোগাযোগ: 01714100647

উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ

বাংলাদেশ থেকে ইদানিং কালে বিদেশে পড়তে যাবার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। আগে যা ছিলো শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত আর ব্যতিক্রমী মেধাবীদের মাঝে সীমাবদ্ধ এখন আর তেমন নেই। তীব্র আগ্রহ থাকলে আজকাল যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাতে পারে ইউরোপ আমেরিকা ও এশিয়ার নানান দেশে ।

অনেকে আবার দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পড়ালেখা শেষে সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ছেন। আবার মুদ্রার ওপিঠেই আছে অনেক ব্যার্থতার কাহিনী, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী শুধুমাত্র সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে যেতে পারেননি তার পছন্দের দেশের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই আমরা চেষ্টা করছি আপনার ভার্চুয়াল গাইড হতে। আপনি কি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী? তাহলে এই ওয়েব সাইট আপনার জন্য। এখানে আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোর্স সিলেক্ট থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত সব কিছুই আছে।

উচ্চশিক্ষা মিশনের ৫ ধাপ :

মেজর সিলেক্ট

আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করতে চান তা নির্বাচন করুন। আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ও ব্যক্তিগত ভালোলাগা এই দুই এর সমন্বয়ে আপনার সাবজেক্ট পছন্দ করুন। উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় ও ক্যারিয়ার সম্বন্ধে জানতে ক্লিক করুন ।

প্রয়োজনে আপনার ব্যাক গ্রাউন্ডের সিনিয়রদের পরামর্শ নিন। মেজর সিলেক্ট হয়ে গেলে আপনি পরবর্তী ধাপ তথা কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান আপনার পছন্দের মেজর পড়ায় না তা তালিকা থেকে বাদ পড়বে।

ব্যক্তিগত পছন্দ

কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার আগে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ/অপছন্দ বিবেচনা করাটাও জরূরী । অনেকের বিশেষ কোন দেশ সম্পর্কে fascination থাকে, আবার অনেকের বিশেষ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহ থাকে। তাই আগে নিজে নিজে এই প্রশ্ন গুলোর জবাব খুজুনঃ
* আমি কি কোন বিশেষ দেশ/শহর/বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আগ্রহী?
* আমার আর্থিক সামর্থ্যও একাডেমিক রেজাল্ট আমাকে কতটা flexibility দিবে?
* IELTS/TOEFL ইত্যাদি স্কোর করার জন্য আমি কতটা প্রস্তুত?
মনে রাখবেন, এই প্রশ্ন গুলোর জবাব আপনার ভবিষ্যত প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।

কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট

প্রথম দুই ধাপ যদি আপনি পার হয়ে আসেন তাহলে আপনার কলেজ/ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করার পরিধি অনেক টাই ছোট হয়ে এসেছে। কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট খুবই চমৎকার একটি মাধ্যম। সমস্যা যেটা হয় তাহলো ইন্টারনেটে ডেটার সমুদ্র থেকে নিজের প্রয়োজনমত তথ্যটি খুঁজেবের করাটা। তাই আপনাকে সাহায্য করতে আমারা এই ওয়েব সাইটটি কে এমন ভাবে সাজিয়েছি যেন আপনি স্বল্পতম সময়ে আপনার দরকারি তথ্যটি পেয়ে যান। আমাদের Study abroad সেকশনে বিভিন্ন দেশের কলেজ/ইউনিভা র্সিটির তথ্য পাবেন।

অ্যাপ্লিকেশন যোগ্যতা

সম্ভবতঃ আপনি পছন্দের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিলেক্ট করে ফেলেছেন। এখন দেখতে হবে এদের চাহিদা (Requirements) গুলো কি কি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে অ্যাপ্লিকেশন শুরু করতে হবে।
যা যা দেখতে হবে তার মাঝে অন্যতমঃ
• IELTS/GRE/TOEFL ইত্যাদি কোন স্কোর চায় এবং কত লাগবে?
• প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র কি কি লাগবে?
• অ্যাপ্লিকেশন ফী।
• কখন সেমিস্টার শুরু হয় এবং আবেদনের সময় সীমা।
স্কলারশীপের সুযোগ আছে কিনা ইত্যাদি।

ভর্তির আবেদন

সর্বশেষ ধাপ হল পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন পাঠানো। নিঃসন্দেহে ভর্তির আবেদন কাজটি খুবই গুরূত্বপূর্ণ এবং তা সতর্কতার দাবী রাখে। যদিও কাজটি খুব কঠিন কিছু নয়। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে, সঠিক সময় সীমার মাঝে, চাহীদা মাফিক ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করলে আবেদন গৃহীত হবার সম্ভবনা বেড়ে যায়। উত্তম হল ডেড লাইন শেষ হবার ৪/৫ মাস আগেই এপ্লাই করা, এতে আপনার আবেদনটি সঠিক ভাবে প্রসেস হবে এবং আপনি অন্যান্য Requirement গুলো Fulfill করার পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

এক্সিওম আপনার ক্যারিয়ার ও শিক্ষা কাউন্সিলিং, বৃত্তি, ভর্তি, ভিসাসহ সুবিধাজনক ও লাভজনক বাসস্থান সনাক্ত করার জন্য সহায়তা প্রদান করে থাকে। আপনার প্রয়োজন যাই হোক না কেন আমাদের এমন বিস্তৃত পরিষেবাগুলি বিনামূল্যে দিতে আমরা প্রস্তুত আপনার পাশে। আমাদের সাথে যোগাযোগ এর ঠিকানা

চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিরাট সুযোগ

বাংলাদেশে এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা অনার্স শেষ করার পর কোনো ভালো চাকরি পাচ্ছেন না কিংবা প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় মাস্টার্সে ভর্তি হতে পাচ্ছেন না । আমার এই লেখা মূলত তাদের জন্য।  তবে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে চীনে বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ ।

আমাদের দেশে অনার্স পাস একটা ছেলে বা মেয়ে সাধারণত ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে থাকেন । আবার এই বেতনের চাকরিও প্রায় সোনার হরিণ । তাই অনেকে বাধ্য হয়ে ৮-১০ হাজার টাকার চাকরি পেলে তা না করে উপায় থাকে না । কিন্তু ঢাকা শহরে এই বেতনে চাকরি করে নিজের পড়ালেখা ও থাকা-খাওয়ার খরচ জোগানো প্রায় অসম্ভব ।

কিন্তু এই অবস্থা আর কত দিন? আপনার রেজাল্ট যদি ভালো থাকে কিংবা আপনার যদি IELTS বা TOFFEL সার্টিফিকেট থাকে তবে বিদেশে পড়ালেখা করার অফুরন্ত সুযোগ আপনার সামনে । শুধুমাত্র সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে আপনি পিছিয়ে আছেন ।

চীন সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ দিয়ে থাকে । বিশেষ করে আমাদের দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের । এমনকি মাস্টার্স, পিএইচডি ও চীনা ভাষা শিক্ষার শিক্ষার্থীদের মাসিক হাত খরচ হিসেবে প্রায় ৩৫-৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে । যা দিয়ে আপনি আপনার প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে প্রতি মাসে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন ।

Chinese Govt. Scholarship (CSC), Confucius Institute Scholarship (CIS), China-Bangladesh Exchange Scholarship, The Belt and Road initiative Scholarship, ২০১৭-১৮ সালের জন্য Under-graduate, Masters, Ph.D., General/Senior Scholar, Chinese Language কোর্সের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন করার এখনই সময় ।

স্কলারশিপের পরিমাণ ও সুযোগ-সুবিধা

১. রেজিস্ট্রেশন ফি, ইনস্যুরেন্স ফি, টিউশন ফি ও হোস্টেল ফি স্কলারশিপের আওতায় থাকবে ।
২. Under-graduate-এর শিক্ষার্থীরা মাসিক কোনো খরচ পাবেন না ।
৩. মাস্টার্স ও ডক্টরেট লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক হাত খরচ হিসেবে যথাক্রমে ৩০০০ ইউয়ান ও ৩৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হবে। (১ ইউয়ান=১২ টাকা) ।
৪. ল্যাবরেটরি ফি, ইন্টার্নশিপ ফি ও যাতায়াত খরচ নিজেদের বহন করতে হবে ।
৫. Confucius Institute Scholarship (CIS)-এর আওতায় শুধুমাত্র চীনা ভাষা শেখানো হয় । চার বছর মেয়াদি এই কোর্স করার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার রেজিস্ট্রেশন ফি, ইনস্যুরেন্স ফি, টিউশন ফি কিংবা হোস্টেল ফি দিতে হয় না । বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি মাসে হাত খরচ হিসেবে ২৫০০ ইউয়ান এবং প্রতিবছর একবার করে দেশে আসার জন্য বিমান টিকিট দিয়ে থাকে । এই কোর্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে চাকরির নিশ্চয়তা । চার বছর মেয়াদি কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই Confucius Institute ভালো বেতনের চাকরি প্রদান করে থাকে ।

নোট: কমপক্ষে HSK LEVEL-2 (চীনা ভাষার ওপর এক ধরনের পরীক্ষা, অনেকটা IELTS-এর মতো) পাস করতে হবে ।

স্কলারশিপের শর্তাবলি

১. চীন ব্যতীত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিক হতে হবে।  অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে ।
২. অন্য কোনো স্কলারশিপ বা ফান্ডিংয়ের জন্য মনোনীত হওয়া যাবে না ।
৩. স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাস ও বয়স অবশ্যই ২৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৪. মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৩৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৫. ডক্টরেট প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৪০-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৬. General Scholar প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য ন্যূনতম ২ বছরের স্নাতক ডিগ্রিধারী ও বয়স অবশ্যই ৪৫-এর চেয়ে কম হতে হবে ।  Senior Scholar প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী অথবা সহযোগী অধ্যাপক (অথবা তার ওপরে) ও বয়স অবশ্যই ৫০-এর চেয়ে কম হতে হবে ।
৭. জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্কলারশিপের রেজাল্ট প্রকাশ করে থাকে ।
৮. Chinese Govt. Scholarship (CSC)–এর জন্য প্রায় MOE লিস্টেড ২৭৯টি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করা যায় ।
৯. একজন শিক্ষার্থী একটার বেশি স্কলারশিপের জন্য মনোনীত হবেন না ।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

১. অ্যাপ্লিকেশন ফরম ।
২. পাসপোর্ট ।
৩. পাসপোর্ট সাইজ ছবি ।
৪. সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টের নোটারাইজ কপি ।
৫. স্টাডি প্ল্যান ।
৬. রিকোমেন্ডেশন লেটার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র নিতে হবে ।
৭. মেডিকেল রিপোর্ট ।
৮. IELTS বা TOFFEL সার্টিফিকেট (যদি থাকে) ।
নোট: বয়স গণনার ক্ষেত্রে তার

🏠 আমাদের ঠিকানা:
*****************
এক্সিওম এডুকেশন গ্রুপ
আনাম র‌্যাংগস প্লাজা , ৫ম তলা
( লিফট-৪), রোড নং-৬/এ, (সাতমসজিদ রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা ।
📧 [email protected]
🌐 studyabroadonline.com
👍 www.fb.com/AxiomEducationGroup

কানাডা ইম্মিগ্রেশন

মাত্র 35 মিলিয়ন জনসংখ্যার কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ- সেরা শিক্ষা, একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি, শহুরে নিরাপত্তা, সমতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে অভিবাসী-বান্ধব জাতি।

উত্তর আমেরিকার উন্নত দেশ কানাডায় সহজ অভিবাসনের অবারিত সুযোগ তৈরি হয়েছে।  এ বছর সারাবিশ্বের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বসবাস, কাজ ও স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে।  দেশটিতে আগামী বছর থেকে এ সুযোগ আরো ৫০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনি যদি কানাডা মাইগ্রেট করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এক্সিওম এর Immigration এক্সপার্ট ব্যারিস্টার এর মাধ্যমে আপনার স্কোপগুলি মূল্যায়ন করতে আজই যোগাযোগ করুন।

নিবন্ধনের জন্য কল করুন: 📞 01646102130-1 (10am to 7pm)

এক্সিওম আপনাকে মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রসেসিং সময়, ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতি সিস্টেম, মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো এবং কানাডা ইম্মিগ্রেশন সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান পেতে সহায়তা করবে।

🏠 আমাদের ঠিকানা:
*****************
এক্সিওম এডুকেশন গ্রুপ
আনাম র‌্যাংগস প্লাজা , ৫ম তলা
( লিফট-৪), রোড নং-৬/এ, (সাতমসজিদ রোড), ধানমন্ডি, ঢাকা।
📧 [email protected]
🌐 studyabroadonline.com
👍 www.fb.com/AxiomEducationGroup

কানাডার ১১টি প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে প্রচলিত বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায়। এগুলোর ভেতর আবেদনকারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এফএসডাব্লিই (FSW) ও এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry) প্রোগ্রাম। তাছাড়া বিপুলসংখ্যক লোকজন বিভিন্ন প্রভিনশিয়াল নামিনেশন প্রোগ্রাম (PNP) এর মাধ্যমেও কানাডায় পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ ও সেলফ এমপ্লয়েড ক্যাটাগরিতেও দেশটিতে অভিবাসনের সুযোগ নেওয়া যাচ্ছে।

এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এশিয়ার। বাংলাদেশিরাও কিছু সহজ নিয়ম অনুসরণ করে এ সুযোগ নিতে পারেন।

👍 ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিশনাল প্রোগ্রাম (BCPP)

আইইএলটিএস এ ৫.৫ সহ ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধু গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি থাকলেই কানাডার এই প্রদেশে বসবাসের আবেদন করতে পারবেন।

● এই প্রোগ্রাম চার ক্যাটাগরিতে বিভক্ত এগুলো হলো :

১) এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিসি-স্কিলড ওয়ার্কার,
২) ইন্টারন্যাশনাল গ্রাজুয়েট এবং স্কিল ইমগ্রেশন,
৩) স্কিলড ওয়ার্কার,
৪) এন্ট্রি লেভেল সেমি স্কিলড।

👍 সমৃদ্ধ সাসকাচেওয়ানে অভিবাসন (SINP) :

সাসকাচেওয়ান (Saskatchewan) কানাডার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী প্রদেশ। এখানে কিছু বিশেষ পেশাজীবী চাইলেই অতি সহজে স্থায়ী নাগরিকত্ব নিতে পারেন। আপনি যদি কম্পিউটার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যানালিস্ট হন, অথবা এনজিও কর্মকর্তা/সোশ্যাল ওয়ার্কার/প্রজেক্ট ম্যানেজার বা কৃষি ব্যবস্থাপক/কৃষি কর্মকর্তা তাহলে এ প্রদেশে অভিবাসনের সুযোগ নিতে পারেন।

এজন্য কেবল প্রয়োজন হবে ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসহ ন্যুনতম ৫.৫ আইইএলটিস স্কোর। সাপ্লাই চেইন, পারচেজ ম্যানেজার, মার্টেনডাইজার, গণিত বা পরিসংখ্যানবিদ অথবা সিভিল ও ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হলেও এপ্র্রোগ্রামের সুযোগ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে গ্রাজুয়েট হতে হবে।

👍 এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry):

কানাডায় অভিবাসনের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ অক্টোবর। এতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক সংখ্যক মানুষ অভিবাসনের জন্য আবেদনের অনুমতি পান। আপনিও যদি কানাডা অভিবাসন প্রত্যাশী হয়ে থাকেন তাহলে আজই এক্সিওম এর সাথে যোগাযোগ করুন।

কানাডা immigration সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন:

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা

ফ্রান্স পশ্চিম ইউরোপের দেশ । বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এদেশের খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে । উন্নত জীবন যাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মান সম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে এদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে ।

কোর্স প্রোগ্রাম

১. ডিপ্লোমাপ্রোগ্রাম,
২. এসোসিয়েটডিগ্রি,
৩. ব্যাচেলরডিগ্রি,
৪. র্গ্যাজুয়েটডিপ্লোমাডিগ্রি,
৫. মাস্টারডিগ্রি এবং
৬. ডক্টরডিগ্রি।

ভর্তির সেশন

ফ্রান্সে বছরে তিন সেমিস্টারে পড়ালেখা করানো হয় ।
১. সেমিস্টার এক – সেপ্টেম্বর/অক্টোবর,
২. সেমিস্টার দুই জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি এবং
৩. সেমিস্টার তিন – মে/জুন ।

পড়ার বিষয়

ফ্রেঞ্চ ল্যাংগুয়েজ এন্ড লিটারেচার, হিস্ট্রি, ইংলিশ, ফিলোসফি, সোশাল সায়েন্স, পলিটিকাল সায়েন্স, সোসিওলজি, ল, ইকোনোমিক্স, চাইল্ড এন্ড ফেমিলিস্টাডিস, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, বিজনেস অ্যাড মিনেসট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট, একাউনটেন্সি, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিক্স, জিওফিজিক্স, এপ্লাইডফিজিক্স, এস্ট্রোনমি, কেমিস্ট্রি, এপ্লাইডকেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োলজি, ই-বিজনেস, কনভেনশন ইন্ডাস্ট্রি, ফুড এন্ড নিউট্রিশন, হিউ ম্যানইকোলজি, ফুড সার্ভিস মেনেজমেন্ট, ট্যুরিজম মেনেজমেন্ট, হোটেলমেনেজমেন্ট, কলিনারিসায়েন্স এন্ড আর্টস, জিওগ্রাফি, ইনফরমেশন ডিসপ্লে, মেডিকাল সায়েন্স, ফার্মাসিউটি কালসায়েন্স, ইলেকট্রনিক মেটেরিয়াল্‌স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ক্লোথিং এন্ড টেক্সটাইল, সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেক চার, ওরিয়েন্টাল ফার্মাসিউটিকাল সায়েন্স, ওরিয়েন্টাল মেডিসিন, ডেন্ট্রিস্টি, স্কুল অব নার্সিং সায়েন্স, হাউজিং এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ডিজাইন ক্রাফট, থিয়েটার এন্ড ফ্লিম, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, ইনস্ট্রুমেন্টাল মিউজিক, কম্পোজিশন, ভয়েজ, ফাইনআর্টস, কোরিয়ান পেইন্টিং, ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিং, স্কাল্পচার, ডেন্স, মডার্ণডেন্সিং, বেলেট প্রভৃতি বিষয় সমূহ পড়া যায় ।

পড়ালেখার মাধ্যম

ফ্রান্সে পড়ালেখার প্রধান ভাষা হলো ফ্রেঞ্চ ভাষা । তবে ইংরেজিতেও পড়ালেখা করা যায় । এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি জানা থাকতে হবে । এক্ষেত্রে আইই এলটি এস বা টোফেল করা থাকলেও চলবে । আন্ডার গ্রাজুয়েটের জন্য ৫.০- ৫.৫ আইই এলটিএস এবং ৫৫০ টোফেল স্কোর এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের জন্য সাধারনত ৬.০ আইই এলটি এস এবং ৬০০ টোফেলস্কোর দরকার হয় ।

পড়াশোনার খরচ

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় ফ্রান্সে টিউশন ফি অনেক কম । সাধারণতঃ টিউশন ফি নির্ভর করে কোর্স এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি বছরে ৮০০-২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে ।

থাকা-খাওয়ার খরচ

বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে হোষ্টেল রয়েছে । তবে কেউ ইচছা করলে ভাড়া বাড়িতে বা পেয়িং গেষ্টহিসাবে ও থাকতে পারবে । থাকা খাওয়া ও অন্যান্য ব্যায়সহ একজন শিক্ষার্থীর মাসে ৪০০-৬০০ ইউরোর বেশী লাগেনা ।  মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স কভারের জন্য মাসে ৪২ ইউরো দিতে হয় ।

কাজের সুযোগ

ফুলটাইম কোর্সের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবে । তবে ছুটি ও অব সরকালীন সময় ফুলটাইম কাজ করা যায়। মাসে প্রায় ৮০০-১০০০ ইউরো আয় করা যায় ।

ভর্তির জন্য আবেদন

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস হতে হবে । ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে সেশন শুরুর কম পক্ষে ১০-১২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয় । এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণত সেপ্টেম্বরের দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে । এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি অথবা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ও ভর্তির আবেদন করতে হবে । আবেদন করার ১০-১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার চলে আসে । আবেদন কারী যোগ্য বলে বিবেচিত হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দেয় ।

ভিসার জন্য আবেদন

অফার লেটার আসার পর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যেমন – শিক্ষাগত যোগ্য তার সকল মার্কশীট এবং সার্টিফিকেট, স্পন্সরেরবৃত্তান্ত (ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আয়ের উৎস), পাসপোর্ট, ছবি, বার্থ সার্টিফিকেট, আইই এলটি এস বা ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সির সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি কাগজপত্র সহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় । ভিসার জন্য আবেদনকারীকে সব কাগজপত্র সহ দেশে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হয় । তবে এক্ষেত্রে সাধারণত স্টাডিভিসার জন্য ফ্রেঞ্চ জানা এবং ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে পারলে সহজেই ভিসা পাওয়া যায় । ভিসা ফি ৯৯ ইউরো ।

স্পন্সর

ভিসার জন্য শিক্ষার্থীর প্রথম রক্তের সম্পর্কের অভিভাবক স্পন্সর হলে ভিসা পাওয়া অনেকটা সহজ হয় । তবে শিক্ষার্থীর অন্য যেকোন অভিভাবক স্পন্সর করতে পারবে ।

ফ্রান্সের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট

1. University of Haut Alsace – www.uha.fr

2. University Strasbourg Louis Pasteur – www.ulp.u-strasbg.fr

3. University Robert Schuman – www.urs.u-strasbg.fr

4. University of Toulon – www.univ-tln.fr

5. University of Auvergne – www.u-clermont1.fr

6. University of Toulouse – www.univ-tlse1.fr

7. University of Franche Comte – www.univ-fcomte.fr

 

কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ইমিগ্রেশন প্রয়োজন এ এক্সিওম বেচে নিবেন?

এক্সিওম ২০০৩ সাল থেকে ৫০০০ এর ও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এবং তাদের পরিবারগুলিকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পুরুনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে । এক্সিওম ইউ এস, কানাডা, ইউ কে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন সহ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসাবে ভর্তি ও ভিসা সহযোগিতা ও ফ্রী পরামর্শ দিয়ে থাকে । এক্সিওম একজন শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত যোগ্যতা,আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেরা পরামর্শ ও সেবা নিশ্চিত করে।

এক্সিওম এর সেবা অন্তর্ভুক্ত:

কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয নির্বাচন ।
ভর্তি আবেদনপত্র জমাদান ও ভর্তি নিশ্চিত করণ ।
স্কলারশিপ পেতে সাহায্য করা ।
ভিসা প্রক্রিয়ায় পরামর্শদান ।
টিউশন ফি পেমেন্ট এ সহায়তা ।
যাতায়ত ও আবাসন এর সাশ্রয়ী ও ঝামেলা মুক্ত ব্যাবস্থা করা ।

এক্সিওম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবাদান নিশ্চিত করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে কাঙ্খিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ একজন পরামর্শদাতা নিযুক্ত থাকে। আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা ইমিগ্রেশন প্রয়োজনে ফ্রী পরামর্শ করতে সরাসরি সাক্ষাত করুন এক্সিওম অফিস বা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য-কল করুন: ০১৬৪৬১০২১৩০-১
(সকাল ১০টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত, শনি – বৃহস্পতিবার)

Open chat
Hello 👋
Can we help you?